অভিনেত্রী নিপুণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী । মূলত বড়পর্দায় নিয়মিত অভিনয় করেন। তবে মাঝে মধ্যে ঈদে ছোটপর্দার বিশেষ নাটকেও তাকে দেখা যায়। গত কোরবানির ঈদেও তিনটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এরমধ্যে সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের ‘মহব্বত ব্যাপারী’, জিয়াউর রহমানের ‘লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন’ নামের খন্ড নাটক এবং এস এ হক অলিকের রচনা ও নির্দেশনায় ‘প্রেমের ঘুনপোকা’ নামের টেলিফিল্মে অভিনয় করে বেশ সাড়া পান তিনি। ‘পিতার আসন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে রূপালী পর্দায় পা রাখেন নিপুণ। ২০০৮ সালে হুমায়ূন আহমেদ রচিত ‘সাজঘর’ ও ২০০৯ সালে ‘চাদের মতো বউ’ ছবির মাধ্যমে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেন তিনি। নিপুণ একে একে অভিনয় করেছেন ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘মেয়ে অপহরণ’, ‘বাবার জন্য যুদ্ধ’, ‘বাবার কসম’, ‘বড় লোকের জামাই’, ‘জমিদার বাড়ি’, ‘কোটি টাকার ফকির’, ‘চাঁদের মতো বউ’, ‘শুভ বিবাহ’, ‘মা বড় না বউ বড়’সহ আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে। একের পর এক ছবিতে কাজ করতে করতে নিজেকে চলচ্চিত্রাঙ্গনেই ব্যস্ত করে তোলেন। রিয়াজ, ফেরদৌস, আমিন খান, শাকিব খানসহ এই সময়ের স¤্রাট, নিরবের সঙ্গেও অভিনয়ে নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছেন নিপুণ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসব থেকে সম্মান বয়ে আনা তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিতেও অভিনয় করে বেশ প্রশংসা পেয়েছেন নিপুণ। এ ছবিতে মোশাররফ করিম ও শহীদুজ্জামান সেলিমের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের এ ছবিটি গত ৩০ জুলাই কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে ৫৭তম এশিয়া-প্যাসিফিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী দিনে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে ঘোষিত হয়। নিপুণ বলেন, এ ছবির গল্পটা শুনেই আমার পছন্দ হয়েছিল। আর ছবিটি মুক্তির পর বেশ সাড়া পেয়েছিলাম আমি। ছবিটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে সুনাম বয়ে এনেছে। এটা শুধু ছবির প্রযোজনা সংস্থা কিংবা পরিচালকের না, একজন অভিনেত্রীর জন্যও অনেক আনন্দের। সামনে নিপুণ অভিনীত ও উত্তম আকাশ পরিচালিত ‘ধূসর কুয়াশা’ ছবিটি মুক্তি পাবে। বর্তমানে এটি সেন্সর ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রের নবাগত মুখ মুন্না। ছবিটির মুক্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নিপুণ মানবজমিনকে বলেন, এ ছবির কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে কবে মুক্তি পাবে তা পরিচালক উত্তম আকাশ বলতে পারবেন। এ সম্পর্কে আমি জানি না। নতুন কোনো ছবিতে আপনাকে সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না এর কারণ কি ? উত্তরে নিপুণ বলেন, এখন কোথায় ছবি করবো ? ঢাকা নাকি কলকাতায়? বর্তমানে চলচ্চিত্রাঙ্গনে নানা বিষয় নিয়ে যে যুদ্ধ হচ্ছে তা আগে শেষ হোক। সরকারি তত্বাবধানে সিনেমা হলে নতুন মেশিন বসানোর কথা শুনেছি। সেটা আগে হোক, তারপর কাজ। আর অভিনেত্রী হিসেবে সব স্বপ্ন পূরণ হয়ে গেছে আমার। এখন অভিনয় নিয়ে ভাবছি না। তবে এফডিসিকে আগে ঠিক করতে হবে, তারপর কাজ। এছাড়া সংশ্লিষ্ট আরও অনেক কিছুকেও ঠিক করতে হবে। নিপুণের কথার সুর ধরেই জানতে চাওয়া হয় কি কি ঠিক হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তিনি? এর উত্তরে নিপুণ বলেন, ডিজিটাল প্রজেকশন মেশিন দ্বারা হলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে ভালো সিনেমাকে কিল করা হচ্ছে। যৌথ প্রযোজনার নামে যে মানি লন্ডারিং হচ্ছে সেটাতে আমি নাই। বাংলাদেশের সিনেমাশিল্প, কলাকুশলীকে ধ্বংস করতে দেয়া যাবে না। এখন এক ব্যক্তি দ্বারা ছবিগুলো নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ভালো গল্পের ছবিতে অবশ্যই কাজ করতে চাই, তবে কারো একক নিয়ন্ত্রনের ছবি করতে চাই না। চলচ্চিত্র বাঁচাতে হলে ‘ওপেন ফর অল’ হতে হবে, ‘নট ফর ওয়ান’।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |