বৃষ্টি হচ্ছিল শনিবার রাত থেকেই । রবিবার সকালে এই বৃষ্টির মধ্যেই লালজান বেগম এক শিশুকে বুকে, আরেক শিশুকে হাতে ধরে বের হয়ে পড়েন খাবারের সন্ধানে। এখানে-ওখানে কারো কাছেই কিছু না পেয়ে শূন্য হাতেই বস্তিতে ফিরছিলেন উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের (পুরনো) আশ্রিতা লালজান। তাঁর এই অসহায় অবস্থা থেকে পাশের এক রোহিঙ্গা নারী তাঁকে তিন পোয়া
চাল দেন রান্না করে খাওয়ার জন্য। কিন্তু চাল দিয়ে হবে কী! প্রবল বৃষ্টিতে লালজানের ঝুপড়ি তলিয়ে গেছে। রান্না করে খাওয়া দূরে থাক, এক মুহূর্ত অবস্থান করা সহজ ছিল না। শেষ পর্যন্ত সকাল থেকে অভুক্তই থাকতে হয় লালজান ও তাঁর সাত সন্তানকে।
এ রকম ‘লালজান’ এখন কক্সবাজারে অসংখ্য। লাখো রোহিঙ্গার খাবারের কোনো জোগাড় নেই। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে ঝুপড়ির মতো বস্তিঘর বানিয়ে রোহিঙ্গারা এখন মানবেতর দশায় রয়েছে। গতকালই আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, মিয়ানমারের সহিংসতার কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনেকেই খাবার, পানি ও আশ্রয়ের অভাবে মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ এবং তাদের মধ্যে শিশুই হবে ছয় লাখ—এমনটাই মনে করে সংস্থাটি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বলির বাজারের তুলাতলী এলাকার নুরুল কবিরের স্ত্রী লালজান বেগম (৩৫)। ২৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনী ও রাখাইন সন্ত্রাসীদের চালানো নৃশংস হত্যাযজ্ঞে লালজানের স্বামী প্রাণ হারান। তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর সাত সন্তানকে (চার ছেলে ও তিন মেয়ে) নিয়ে সাত দিন পায়ে হেঁটে বাংলাদেশে ঢোকেন লালজান। তিনি উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে (পুরনো) আশ্রয় পেয়েছেন। কিন্তু সাত সন্তানের জন্য প্রতিদিন দুই বেলা খাবার জোগাড় করতে তাঁকে মানুষের কাছে ভিক্ষা করতে হচ্ছে।
‘এখানে আসার পর এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাত্র তিন কেজি চাল পেয়েছিলাম। এরপর আর কারো কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তা পাইনি। এই অবস্থায় ভিক্ষা করে যা পাই তা দিয়ে সন্তানদের এক বেলা খাওয়াচ্ছি। যেদিন কিছুই পাই না সেদিন উপোস থাকতে হচ্ছে। ’ গতকাল দুপুরে কালের কণ্ঠকে তিনি এসব কথা বলছিলেন।
লালজান বেগম আরো বলেন, ‘শনিবার রাতে হঠাৎ করে প্রবল বর্ষণ শুরু হলে বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তিতে তাঁর খুপরি ঘরের সব কিছু ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। পাহাড়ের আঠালো কাদামাটিতে একাকার হয়ে যায় সব কিছু। ঘরে থাকা কাপড়-চোপড়, ঘুমানোর বিছানাসহ সব কিছু ভিজে এবং কাদামাটিতে একাকার হয়ে পড়েছে। ’
ব্যাপক সংখ্যক রোহিঙ্গার খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা নিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও। এ নিয়ে বাইরে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের বাংলাদেশের আবাসিক পরিচালক মার্ক পিয়ার্স গতকাল বলেছেন, ‘বহু মানুষ মিয়ানমার থেকে ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত অবস্থায় এবং কোনো খাদ্য বা পানি ছাড়াই এসে পৌঁছাচ্ছে। আমি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন এ কারণে যে, এত বেশি সংখ্যক আশ্রয় নিয়েছে যে সবার খাদ্য, আশ্রয়, খাবার পানি এবং মৌলিক পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারগুলো তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে না পারলে তাদের দুর্ভোগ আরো অনেক বাড়বে এবং এতে প্রাণহানিও ঘটতে পারে। ’
সরেজমিন ঘুরে এ ধরনের আশঙ্কার যথার্থতা দেখা যায়। কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের পাশে টাওয়ার এলাকায় বনভূমিতে খুপরি ঘরে থাকছেন রোহিঙ্গা আবদুস শুক্কুর (৩০)। তাঁর রয়েছে মা-বাবা, স্ত্রী, চার সন্তানসহ ১০ সদস্য। ১৮ দিন আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর লেমশী থেকে এখানে পালিয়ে আসেন। কিন্তু বনভূমির পাদদেশে বানানো খুপরি জলমগ্ন হয়ে পড়ে বৃষ্টিতে। শনিবার রাতের প্রবল বৃষ্টিপাতে ঘরের সব কিছুই ভিজে এবং কাদামাটিতে একাকার হয়ে পড়ে।
রোহিঙ্গা আবদুস শুক্কুর গতকাল বিকেলে বলেন, ‘মংডুর লেমশীখালীতে আমার ১৭ কানি (স্থানীয় হিসাবে আড়াই কানিতে এক একর) ফসলি জমি ছিল। ১২ কানিতে ধান এবং পাঁচ কানিতে বাদামের চাষ করেছিলাম। পালিয়ে আসার সময় ৫০ কেজির মতো বাদাম নিয়ে আসি। সেখান থেকে শনিবার বিকেলে ২০ কেজি বাদাম বিক্রি করে পাই ২০০০ টাকা। এ ছাড়া এক ব্যক্তি আমার স্ত্রীকে ২০০ টাকা সাহায্য দেন। সেই ২২০০ টাকা দিয়ে একটি চালের বস্তা কিনেছিলাম কয়েক দিন খাওয়ার জন্য। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে সেই কেনা চালও ভিজে গেছে। এখন ভিজে যাওয়া চাল শুকাতে দিচ্ছি রোদ ওঠায়। ’
সরেজমিন কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানিতে পরিবেশ কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান কাদা। চলাফেরা করতে গিয়ে রোহিঙ্গা শিশু, নারী-পুরুষ ও বৃদ্ধরা চরম দুর্ভোগে পড়ছে।
মনে করা হচ্ছে, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে গতকাল পর্যন্ত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা সোয়া চার লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তন্মধ্যে আনুমানিক অর্ধেক রোহিঙ্গার জায়গা হয়েছে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে। বাকি অর্ধেক এখনো সড়কের ধারে অথবা আত্মীয়-স্বজনের কাছে থাকছে। আবার অনেকে খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছে। এই অবস্থায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় তাদের দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এতে বেশি বেকায়দায় পড়েছে কোলের শিশু, কিশোরী থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা। জাতিসংঘের সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন এবং নিধনযজ্ঞের ভয়ে গত আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে এর পরও প্রতিদিনই নতুন করে আসছে রোহিঙ্গার দল।
ত্রাণে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি : ত্রাণ বিতরণসহ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো শনিবার থেকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসে প্রশাসন। এর পরও বিচ্ছিন্নভাবে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী শরণার্থী শিবির এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের জন্য অনেকে ঢুকে পড়ছে। ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা ফেরাতে মহাসড়কের উখিয়ার প্রবেশপথে পাহারা বসানো হয় ত্রাণবাহী যানবাহন যাচ্ছে কি না তা দেখতে। তবে মাঝে মাঝে ত্রাণবাহী কিছু যানবাহন বিকল্প পথ দিয়ে এই মহাসড়কে ঢুকে পড়ছে। আর ত্রাণবাহী গাড়ি দেখলেই অভুক্ত রোহিঙ্গা শিশু, নারী-পুরুষ দৌড়ে যাচ্ছে তা নেওয়ার জন্য। গতকাল রবিবার দুপুরেও ত্রাণবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান দেখে সেখানে ছুটে যায় অসংখ্য রোহিঙ্গা। এ সময় ভ্যান থেকে খাবার প্যাকেট ছুড়ে মারা হচ্ছিল। এতে অনেক খাবারের প্যাকেট কাদামাটিতেও পড়ে যায়। সেই কাদামাটি থেকেও রোহিঙ্গারা তুলে নেয় খাবারের প্যাকেট।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজন্ব) কাজী আবদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের লোকবল সংকট একটা বড় সমস্যা হয়ে আছে। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসনের চেষ্টার কমতি নেই। সামান্য লোকবল নিয়ে যথাসম্ভব চেষ্টা করছে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে। বিশেষ করে জেলা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোনো ত্রাণবাহী গাড়ি গিয়ে যাতে শিবির এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের উখিয়ার প্রবেশ মুখে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এতে সুফলও মিলছে। কিন্তু বিকল্প পথ দিয়ে মহাসড়কে ঢুকে পড়ে দু-একটা গাড়ি। সেই গাড়ি থেকে রান্না করা খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এভাবে যাতে আর না হয় সেদিনে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। ’
দোকানে কাড়াকাড়ি : কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এলাকায় দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্য। হাতে বানানো খাবারও পাওয়া যায় না। খাবারের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় রোহিঙ্গাদের। রোহিঙ্গাদের লম্বা লাইন ধরছে—যা এলাকাবাসীকেও ক্ষুব্ধ করছে। কুতুপালং এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মনজুর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি খাবারের দোকানে গিয়েছিলাম পাঁচটি পরোটা কিনতে। দেখি দীর্ঘ লাইন। কড়াইয়ে পরোটা আধা ছেঁকা হতেই কাড়াকাড়ি শুরু হচ্ছে—কার আগে কে নেবে। আরেক বাসিন্দা দিলদার হোসেন বলেন, ‘লাখ লাখ রোহিঙ্গার চাপে আমরা যারা স্থানীয় আছি তারা এখন সংখ্যালঘু হয়ে গেছি এখানে। অতিরিক্ত রোহিঙ্গার চাপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও আকাশচুম্বী। যে সবজি ২০-৩০ টাকায় পাওয়া যেত, সেই সবজির দাম দ্বিগুণ থেকে তিন গুণে ঠেকেছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে স্থানীয় লোকজনের বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়বে এখানে।
স্বাস্থ্য বিভাগের সেবা : কক্সবাজার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তথা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ব্যাপকভাবে শুরু করা হয়েছে মেডিক্যাল কার্যক্রম। একদিন থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের জন্য বিশেষ ইপিআই কর্মসূচির অধীনে ১৬টি ইপিআই কেন্দ্র স্থাপন, ৩৬টি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। একদিন থেকে ৫৯ মাস বয়সী এক লাখ ২০ হাজার শিশুকে ইপিআই কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। এ ছাড়া ৮ হাজার ৭০০ শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা প্রদান এবং চার হাজার ৯৮৩ জন শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুস সালাম কালের কণ্ঠকে জানান, গত শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে গেছেন। এ সময় তিনি নির্দেশ দেন, শরণার্থী শিবিরগুলোতে মেডিক্যাল টিম স্থাপনসহ স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করতে। তাঁরই নির্দেশনা মোতাবেক এখানকার স্বাস্থ্য বিভাগের সব ডাক্তার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা সবাই এখানে নেওয়া বিশেষ কর্মসূচিসহ চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
ত্রাণ বিতরণ : বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অর্থায়নে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মুক্তি কক্সবাজারের ব্যানারে ৩৩ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৩৩ হাজারের মধ্যে ১৬ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারকে ত্রাণ হিসেবে চাল বিতরণ করা হয়েছে ২৫ কেজি করে। ত্রাণ হিসেবে বড় পরিসরে ২৫ কেজি করে চাল পাওয়ায় অভুক্ত রোহিঙ্গা পরিবারগুলো প্রতিদিন দুই বেলা খেতে পারছে স্বচ্ছন্দে। ত্রাণ বিতরণের সময় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিউএফপি) স্থানীয় কর্মকর্তা শুশংকর চন্দ্র দাশ এবং মুক্তি কক্সবাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ শাহীন উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানান, আজ সোমবার থেকে বাকি ১৪ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যেও একইভাবে ত্রাণ বিতরণ করবেন।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) পক্ষ থেকে গতকাল বিকেলে এক সঙ্গে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে ত্রিপল ও রশি বিতরণ করা হয়েছে। এতে শনিবার দিবাগত রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে থাকা রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর মধ্যে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার এই সহায়তা পেল।
গতকাল বিকেলে ত্রিপল ও রশি পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন রোহিঙ্গা নাগরিক মিয়ানমারের ফকিরা বাজার এলাকার মোহাম্মদ কালু। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বৃষ্টিতে শনিবার রাতভর ভিজেছি। বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে খুপরি ঘরে থাকা কাপড়-চোপড় ও বিছানা। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগেই ছিলাম। এই অবস্থায় ত্রিপল পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। ’
চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, রোহিঙ্গাদের চিকিৎসাসেবা দিতে আজ ১২ সদস্যের দল নিয়ে উখিয়া যাচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। কুতুপালং ক্যাম্পে তাঁরা এই সেবা দেবেন। ছয়জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়াও প্যারামেডিকস রয়েছেন এই দলে।
এদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির পক্ষে টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপে গত শুক্রবার ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। মন্ত্রীর একান্ত সচিব নিয়াজ মোরশেদ নিরু জানান, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সহযোগিতা করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।