নির্বাচন কমিশন (ইসি) একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে আজ আরও দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসছে ।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) ও বিকাল তিনটায় প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ঘোষিত পথনকশা অনুযায়ী নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে ইসি। গত ২৪ আগস্ট বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়। এ পর্যন্ত ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে সংস্থাটি। সংলাপে সিইসি কে এম নূরুল হুদাসহ চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ন্যাপের একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংলাপে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে চলমান সংসদ বিলুপ্ত করা, বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব দেবে দলটি। বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমানের নেতৃত্বে সকালে ইসিতে সংলাপে যাবে দলটি।
বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা, সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ আমরা বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরবো।’
এছাড়া নির্বাচনে অবৈধ অর্থ, কালোটাকা ও পেশিশক্তি ব্যবহার কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ, নিরপেক্ষ স্থানে ভোট কেন্দ্র্র স্থাপন, ভোটার ও প্রার্থীর এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে প্রার্থীদের এজেন্টদের স্বাক্ষরসহ ভোট কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ঘোষণা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অন্তত এক বছরপূর্বে থেকেই সকল দলের লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা, না ভোটের বিধান সংযুক্ত করা, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেয়া, ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি বাদ দেয়া, সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের সুবিধা ও নিরাপত্তা বাতিলসহ আরও বেশ কয়েকটি দাবি জানাবে বাংলাদেশ ন্যাপ।