টাস্কফোর্সের চালানো অভিযান শেষ হয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বাংলাদেশ রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুর রশিদের কুষ্টিয়ার মিলে স্থানীয় । তবে সেখানে অতিরিক্ত মজুদ পায়নি টোস্কফোর্স।
আজ রবিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জহির রায়হান ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য জানান।
এর আগে বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। এর পরই অভিযানে নামে টাস্কফোর্স।
তবে জেলা প্রশাসক এই অভিযানকে নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে জানান, শুধু আবদুর রশিদ নয় সেখানকার আরো অনেকের গুদামে অভিযান চালানো হয়েছে। কোথাও অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। অভিযান আরো চলবে বলে জানান তিনি।
আবদুর রশিদকে গ্রেপ্তারের মন্ত্রীর নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, সে রকম কোনো নির্দেশনা তারা পাননি। আর গুদামে অভিযান চালিয়ে যেহেতু অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি, তাই তাকে গ্রেপ্তারের কোনো কারণ (গ্রাউন্ড) নেই।
আজ রবিবার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠকে অভিযোগ ওঠে, গত সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আবদুর রশিদের গুদামে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত চাল মজুদের প্রমাণ পায়। এ সময় তাকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৈঠককালে বাণিজ্যমন্ত্রী মোবাইল ফোনে বাংলাদেশ রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলীর চালের গুদামে অভিযান চালানো ও প্রয়োজনে গ্রেপ্তারের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি ও এসপিকে নির্দেশ দেন।
বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চালের বাজারে কারসাজির জন্য মূল হোতা হিসেবে আব্দুর রশিদ ও লায়েক আলী দায়ী বলে জানান। তিনি বলেন, তাদের দুজনের চালের গুদামে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আব্দুর রশিদের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। কুষ্টিয়া ও নওগাঁয় তার চালের মিল ও গুদাম আছে।
গত কিছু দিন ধরে দেশের চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করে আসছে সরকার।