স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা শুরু হবে। প্রতিমা বিসর্জন হবে ৩০ সেপ্টেম্বর।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গতবার সারাদেশে ২৯ হাজার ৩০০ মণ্ডপে পূজা হয়েছিল। এবার ৩০ হাজার ৭৭ মন্দিরে পূজা হবে। পূজার শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। কোনও নাশকতাকারী উৎসবে যেন বাধা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকবে।
ঢাকায় ২৩১টি পূজা মণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকেশ্বরী, রমনা, বনানী, কলাবাগানসহ বড় বড় পূজা মণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পূজা উদযাপন কমিটিকে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মন্দিরে যেন তারা সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরসহ নিরাপত্তা সামগ্রী রাখেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্ধারিত বিসর্জনের সময় মানার আহ্বান জানিয়ে রাত ৮টার মধ্যে বিসর্জন শেষ করার কথা বলা হয়। বিকাল ৩টা থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বিসর্জনের শুরু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।আতশবাজির কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বিভ্রান্তিতে পড়ে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ কারণে কোনো ধরনের আতশবাজি না করতে নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানিয়েছি আমরা।
মন্ত্রী বলেন, পূজা চলাকালীন আমরা রাস্তায় মেলা বসাতে মানা করেছি। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এতে রাস্তাঘাটে যানজট হয়, ছিনতাই ও নানান ধরনের বাধার সম্মুখীন হই। আমাদের একটা প্র্যাকটিস হয়ে গেছে, যারা পূজা করেন তারা আজানের সময় তা বন্ধ রাখেন না। এবারও আমরা অনুরোধ করেছি, আজানের সময় যাতে পূজা মণ্ডপ থেকে কোনো ধরনের বাদ্য বা উচ্চস্বরে কিছু করা না হয়।
এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারাও বৈঠকে অংশ নেন।