পালিয়ে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে আসা সব রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে চলে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে উখিয়া-টেকনাফের সমস্ত জাইগায়,উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে দফায় দফায় মাইকিং করার পরেও,বাংলাদেশের কিছু কিছু অসাধু ব্যক্তিদের সহায়তায় রোহিঙ্গারা এখনো ক্যাম্পে যেতে আগ্রহী হচ্ছেনা,ফলে নিবন্ধিত হতে পারছেনা।
আজ সকাল থেকে টেকনাফের বিভিন্ন জায়গাই গিয়ে পরিলক্ষিত করে আসলাম, রোহিঙ্গারা নির্দিষ্ট ক্যাম্পে চলে না গিয়ে যেই যেখানে আছে ওখানেই পলিথিনের বেডা বানিয়ে বসবাসের উপযোগী করে তুলছে। তাদের মূখের ভাষা,তারা উখিয়া-টেকনাফের যেইখানে থাকুক না কেন,ত্রাণের টাকা পয়সা ও নিত্যপ্রয়োজনী জিনিসপত্র বাংলাদেশী দালালদের মাধ্যমে তাদের কাঁছে পৌঁছে যাবে।
আর বাংলাদেশী দালালরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কথা অমান্য করে,এখনো নিজের বসতভিটা ও নির্মানাধীন আদা পাকা মার্কেটের নীচে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে রোহিঙ্গাদের পাওয়া ত্রানের বেশীর ভাগ টাকা তাঁরাই হাতিয়ে নিচ্ছে।
সুতরাং উখিয়া- টেকনাফের সমস্ত সচেতন ব্যক্তিদের উচিত,নিজ নিজ উদ্দোগে নিজের পাড়া মহল্লায় গিয়ে রোহিঙ্গাদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের কে নির্দিষ্ট ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায়,বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে অচিরেই হারিয়ে যাবে উখিয়া-টেকনাফের মত গুরুত্বপূর্ণ জাইগাটি।
এ কেমন বর্বরতা!!! রোহিঙ্গারা মিয়ানমার মিলিটারীর নির্যাতনে যতটা জর্জরিত হয়নি,ততটা আমরা উখিয়া-টেকনাফবাসী রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের অসাধু কিছু দালালদের কারনে বেশী জর্জরিত হয়েছি। জাতীসংঘ আজ নীরব ভূমিকা পালনে ব্যস্ত। আর আমরা বিশ্বের মানচিত্রে ক্ষুদ্র দেশ হয়েও মানবতা ফেরী করা নিয়ে নিয়ে ব্যস্ত। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও আজ বুক ফুটিয়ে নিজেকে স্বাধীন দেশের নাগরিক দাবী করতে পারছিনা। স্বাধীন হয়েও আজ আমরা পরাধীন কেন??
আজ এই কঠিন মূহুর্তে প্রশাসন নীরব,উখিয়া-টেকনাফের সমস্ত জনপ্রতিনিধি নীরব। সবাই ত্রান দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত,নিজের ঘরে চাল,ডাল,মাছ কিছুই নেই,বউ বাচ্চা উপোস,তারপরেও আমরা ধার করা টাকা নিয়ে ত্রাণের মায়ায় পডে আছি। মানুষ কতটা নির্লজ্জ হলে এই রকম জগন্য কাজ করতে পারে!!
এ কেমন মানবতা!!! মানবতা আজ আমাদের কাঁধের উপর!!তারপরেও আমরা এই মানবতা থেকে এখনো উচিত শিক্ষা নিতে পারিনি। সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা যখন,বিদেশী ত্রাণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে,তখন আমরা সাধারন জনগন,বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে উখিয়া-টেকনাফকে হারোনের ভয়ে নিরুপায় হয়ে দিনাতিপাত করছি।
(বি:দ্র:) আমরা সুস্থভাবে বাঁচতে চাই। আমরা এমন মানবতা দেখাতে চাইনা,যেই মানবতা আমাদের পরাধীন জাতী হিসেবে পরিচিত করে।