ঢাকার মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ মিয়ানমারে সেদেশের সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা ও দেশ ছাড়া করার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ । গতকাল সকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরগেটের সামনে সমাবেশ শেষে দলটির নেতাকর্মীরা গুলশানে মিয়ানমার দূতাবাসের উদ্দেশে রওনা দিলে শান্তিনগরে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে বাধা দেয়। এতে সেখানে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমার দূতাবাসে প্রতিবাদের স্মারকলিপি প্রদান করতে যান। এর আগে সকাল ১০টা থেকে নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররম উত্তরগেটে আসতে থাকেন। বেলা ১১টার পর থেকে উত্তরগেটের উভয় পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এতে ওই এলাকায় প্রচণ্ড যানজট তৈরি হয়। পরে দলটির পক্ষ থেকে মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধ না হলে আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর আগে সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই এর পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধ ও সামরিক ব্যবস্থাসহ সকল পদক্ষেপ নিতে হবে। অর্থনৈতিক অবরোধের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের সকল পণ্য বর্জন করতে হবে এবং মুসলিম বিশ্বকে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বর্বর জান্তারা রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার মাধ্যমে রাখাইন রাজ্যকে মুসলিম শূন্য করার খেলায় মেতে উঠেছে। বর্মী জান্তা এবং অং সান সুচি বিশ্ব সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। রাখাইনে ইতিহাসের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ও নির্মমতা এবং মানবতা ভূ-লুণ্ঠিত হলেও জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা রাখছে না।
দলটির নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, মিয়ানমারের জান্তা সরকার শুধু রক্ত- আরো রক্ত চায়, লাশ এবং আরো লাশ চায়। কাজেই রক্ত ও লাশের খেলা বন্ধ না হলে মিয়ানমার সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে। বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে খাদ্য কিনে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়েছে। এই অথর্ব মন্ত্রীকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে অপসারণ করতে হবে।
দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি বলেন, রাখাইন রাজ্যের খনিজ সম্পদ লুটপাট করতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর ইন্ধনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উচ্ছেদ করছে। সুচি রক্ত পিপাসু দানব। তার বিচার হতেই হবে।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, মিয়ানমার সরকার মুসলিম নিধন ও মুসলিম শূন্য করার জন্য সেখানে ভয়াবহ তাণ্ডব চালাচ্ছে। হত্যা ধর্ষণ বন্ধ না হলে নাফ নদ পাড়ি দিয়ে মুসলমানরা সেখানে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম বলেন, মুসলিম হত্যাকারী মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দিয়ে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব-অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ঢাকা উত্তর অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী ও মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী প্রমুখ।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |