এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে আটক করে গণধোলায় দিয়ে পুলিশের হতে তুলে দেন স্থানীয় জনগণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের প্রহরচাঁন্দা নয়া পাড়া এলাকার রহিম সওদাগরের দোকানের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে অস্ত্র নিয়ে ঘুরাঘুরি করার সময় মো: শহিদুল্লাহ্ (২৮) নামের। শহিদুল্লাহ্ একেই এলাকার জাফর আহমদের পুত্র বলে জানা গেছে।
১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে লোহাগাড়া থানার ওসি মো: শাহ্জাহান পিপিএম (বার) এর নিদের্শে লোহাগাড়া থানার এসআই লিটন চন্দ্র সিংহ ও এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি পুলিশি টিম ঘটনাস্থালে পৌঁছে হাতে নাতে দেশীয় তৈরী এলজি বন্দুক, ৪ রাউন্ড তাজাগুলিসহ তাকে উদ্ধার করে।
থানা পুলিশের হেফাজতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থানার হেফাজতে নিয়ে আসা হয়।
পুটিবিলা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবু কাজল বড়ুয়া মুঠোফোন উক্ত প্রতিবেদককে জানান, ঘটনার সময় সকালে সন্ত্রাসী আবদুল্লাহ অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যভাবে এলাকার লোকজনকে হুমকি-ধমকি প্রদান করেন। এ সময় স্হানীয় জনতা তার হাতে অস্ত্র দেখতে পেলে গণধোলাই দিয়ে আটক করে। আটক শহীদুল্লাহ এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত বলেও তিনি জানান।
আটককৃত সন্ত্রাসী আবদুল্লাহ জানান, এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবুল বশরের পুত্র আবদুস শুক্কুরকে হত্যা করার জন্য আবদুস সালাম আমাকে ৫০হাজার টাকা দিবে বলেন।সে আমাকে এলজি বন্দুক ও ৪রাউন্ড তাজা গুলিসহ ১০হাজার টাকা প্রদান করে এবং তাকে হত্যা করতে পারলে বাকী ৪০হাজার টাকা দিবে বলেও জানান।
তিনি আরো জানান, এলাকার সেলিম, মুসলিম ও জাহেদ মিলে তাদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে।
আটককৃত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান লোহাগাড়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোহাম্মদ হেলাল খাঁন।