নাগরিক সংগঠন সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের নামে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, এক মানববন্ধনের আয়োজন করে । সুজনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সুজন মহানগর কমিটির জুবায়েরুল হক নাহিদ, ক্যামেলিয়া চৌধুরী, মো: নাজিমউদ্দিন, অ্যাডভোকেট রাশিদা আক্তার শেলী, ইউনূস আলী মাসুদ সহ প্রমুখ।
অত্যাচার থেকে রক্ষা পেঁতে ও প্রাণ বাঁচানো জন্য, লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। পালিয়ে আসার সময়ও তাদের উপর গুলি চালানো হচ্ছে। পালানোর সময় নৌকাডুবিতেও প্রাণ যাচ্ছে অনেকের। ২৫শে আগস্ট থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত, প্রায় তিন লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা নির্যাতনের এই ঘটনা নতুন নয়, এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। প্রথম ১৯৭৭ সালে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে স্বদেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়। তখন ২ লক্ষ ৮০ হাজার লোক বাংলাদেশে আসলেও, এদের মধ্য থেকে ১৯৭৮ সালে কিছু ফেরত নেয়া হয়। ১৯৯২ সালেও একই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয় এবং ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালে কিছু সংখ্যক শরনার্থীকে স্বদেশে ফেরত নেয়া হয়। ২০১২ সাল থেকে উপর্যুপরি রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা-নির্যাতন ও দেশ থেকে বিতাড়িত করার ঘটনা ঘটেতে থাকে। ২০১৩-১৪ সালে ও ২০১৬ সালে একই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়। ২০১৬ এর অক্টোবর থেকে পরিচালিত সেনা অভিযানে ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল বলে জানা যায়। সেই হিসেবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মালয়েশিয়া, ভারত সহ আশেপাশের অনান্য দেশে রোহিঙ্গারা ঠাই নিলেও, বাংলাদেশে এর প্রভাবটা সবচেয়ে বেশি।
বর্তমানে মিয়ানমারের রাখাইনে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তা থেকে পরিত্রাণের জন্য বিশ্বের সচেতন ও মানবতাবাদীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সুজনের নেতৃবৃন্দ। জাতিসংঘ কর্তৃক মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, বাংলাদেশ সরকারের কুটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা, শরনার্থীদের দেশে ফেরত নিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী যাতে এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কোন সুযোগ নিতে না পারে, সে দিকে সদা সতর্ক দৃষ্টি রাখা সহ মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে কয়েক দফা দাবি জানানো হয়।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |