অনেকেই অনেক কিছু করেন ফিল্মে অভিনয় করতে। কেউ ঘরবাড়ি ছাড়েন, কেউ পড়াশোনা, কেউবা বহুদিনের পেশা। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার যুবক নেভেন সিগানোভিচ যেটা করেছেন সেটা খুবই ভয়াবহ। নিজেকে ফিট করার জন্য, ফিল্মে অভিনয়ের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য এক দুইবার নয়, ১২ বার প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার ও টিভি স্টার এই যুবক। এখন তার স্বপ্ন ফিল্ম স্টার হওয়া।
কিন্তু শেষ বার সার্জারি করানোর পর ভয়াবহ সমস্যার মুখোমুখি হন নেভেন সিগানোভিচ। রাইনোপ্লাস্টি বা নাক টিকোলো করার জন্য প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সাইড এফেক্টে তার পুরুষাঙ্গ পারমানেন্ট ইরেকশনের শিকার হয়ে যায়। যার ডাক্তারি নাম প্রিঅ্যাপিজম।
সিগানোভিচের ভাষ্য মতে, রাইনোপ্লাস্টির জন্য সে সময় তিনি ইরানে ছিলেন। তার জীবন নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি শ্যুট করা হচ্ছিল সেখানে। ফিল্মের ক্রু ডাক্তারের সঙ্গে কথা বললেও অপারেশন থিয়েটারে যাননি তারা। অপারেশনের আগে সিগানোভিচকে জেনারেল অ্যানাস্থেশিয়া দেয়া হয়। যাতে খুব বাজে সাইড এফেক্ট হয়। ফলে অপারেশন চলাকালীনই প্রিঅ্যাপিজম ধরা পড়ে তার।
অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এ রোগের ফলে সিগানোভিচের পুরুষাঙ্গের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হতে পারে। তাই ডাক্তাররা তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন। পরে তিনি ক্রোয়েশিয়া ফিরে রাজধানী বেলগ্রেডে চিকিৎসা করান। পাঁচদিন চিকিৎসাধিন থাকার পর তাকে ছাড়া হয়। প্রিঅ্যাপিজম থেকে মুক্তি পেতে তাকে আরও একটি অপারেশন করাতে হবে। যার জন্য বেশ কয়েক মাস তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন না বলে জানান সিগানোভিচ।
১২টি প্লাস্টিক সার্জারির মধ্যে তিনটিই হয়েছে তার নাকে। এছাড়া ঠোঁট, থুতনি এবং পেটেও সার্জারি করিয়েছেন তিনি। সারা গায়ে ট্যাটুও করিয়েছেন। সিগানোভিচের মূল লক্ষ্য, আন্তর্জাতিক খ্যাতি পাওয়া এবং ফিল্মে অভিনয় করা। এর জন্য প্রয়োজনে আরও একবার নাকে সার্জারি করাবেন বলে জানান তিনি। তার ধারণা, এর পরই তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কোন ফিল্ম স্টার হতে পারবেন।