নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মিয়ানমার থেকে অবাধে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে বলে আশংকা করছেন । বিশেষ করে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের আড়ালে মিয়ানমার বাহিনীর তাড়া খেয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার শংকা স্থানীয়দের। তবে বিজিবির দাবি, বিদ্রোহীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
স্বাধীন আরাকান রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য দেড় দশক ধরে স্বশস্ত্র লড়াই চালাচ্ছে রোহিঙ্গাদের বেশ কটি বিদ্রোহী গ্রুপ। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলো কোনো ধরণের নাশকতা চালালে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহীনি।২৩শে আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বড় ধরণের হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের একটি গ্রুপ। প্রতিবারই হামলার পর মিয়ানমার বাহীনি অভিযানের মুখে বিদ্রোহীরা পালিয়ে গেলেও এবার তারা প্রতিরোধে নেমেছে।
শেষ পর্যন্ত মিয়ানমার বাহীনির সাথে টিকতে না পারলে বিদ্রোহীরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।কক্সবাজারে নানা ধরণের অপরাধ এবং নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে রোহিঙ্গাদের জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। কিন্তু এবার ব্যাপক আকারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটায় জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এই অবস্থায় মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানালেন বিজিবি কর্মকর্তা।আর নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের নিবন্ধনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।গত ২৩ আগস্ট থেকে কি পরিমাণ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও এ সংখ্যা লাখের বেশি বলে ধারণা স্থানীয়দের।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারীরা অধিকাংশই নারী এবং শিশু। পুরুষ অনুপ্রবেশকারী তেমন ছিলনা বললেই চলে। আর এটিকেই ঝুঁকি হিসেবে দেখছে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন পরবর্তীতে এইসব পুরুষদের সাথে যদি রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে তা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।