তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগান মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুর্দশায় তাদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সফরে আসছেন ।
বুধবার একটি প্রাইভেট বিমানে তিনি ঢাকা পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী হাকান কাভাসুগলো। তার সফর সঙ্গী হিসেবে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলেত কাভাসুগলোও রয়েছেন।
তুর্কি ‘এটিভি’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে হাকান কাভাসুগলো বলেন, ‘মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আমাদের যেসব মুসলিম ভাই-বোন পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বুধবার বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগান।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশটির সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ চরমপন্থীদের দমন-পীড়নের হাত থেকে বাঁচতে হাজার হাজার মুসলিম ভাই-বোন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।’
তিনি জানান, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বর্তমান সভাপতি এরদোগান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের এক হাজার টন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার জন্য তুর্কি সহযোগিতা ও সমন্বয় সংস্থাকে (টিআইকা) মঙ্গলবার অনুমতি দিয়েছে মায়ানমার সরকার।
রাখাইনে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটির রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর অং সান সু চিকে টেলিফোন করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তার টেলিফোন করার কয়েক ঘন্টা পরে মায়ানমারের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের অনুমতি দেয়া হয়।
কাভাসুগলো জানান, ওই অঞ্চলে অনিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ অব্যাহত থাকায় রাখাইন রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে সামরিক হেলিকপ্টার মাধ্যমে সংঘাতপূর্ণ এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘হেলিকপ্টার ভূমিতে ল্যান্ড করার পর সেখান থেকেই তা বিতরণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ওই অঞ্চলে আমাদের দুটি সমন্বয় কার্যালয় রয়েছে এবং বণ্টন প্রক্রিয়া মনিটর করার জন্য এই দুই কার্যালয়ের কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সেখানে ভ্রমণ করবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১০ হাজার পরিবারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করব।’
কাভাসুগলো বলেন, ‘আমরা এখন জরুরি প্রয়োজনগুলো প্রদান করছি। এটা ছাড়াও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত আছে। ঔষধসহ গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা সরবরাহ করতে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
সূত্র: আনাদুলো এজেন্সি