একটি গ্রামেই পুড়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে ৭০০ বাড়ি। রাখাইনে শুধু ভষ্মীভূত বাড়িঘর। স্যাটেলাইটে পাওয়া ছবির ওপর ভিত্তি করে এসব কথা বলেছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আজকের এক রিপোর্টে এসব জানিয়েছে তারা। বলা হয়েছে, রাখাইনের রাথেডাউং শহর এলাকার চেইন খার লি প্রায় পুরোটাই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সেখানে কমপক্ষে ৭০০ বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, এসব অগ্নিকান্ড কিভাবে ঘটেছে এবং কি পরিমাণ মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে রোহিঙ্গাদের ওপর তা নির্ধারণ করতে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেয়া উচিত মিয়ানমার সরকারের। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক উপ পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেছেন, স্যাটেলাইটে পাওয়া নতুন ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে একটি মুসলিম প্রধান গ্রাম পুরোটাই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এতে রাখাইন রাজ্যজুড়ে কি পরিমাণ ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে তার চিত্র ফুটে উঠেছে। স্বাভাবিকভাবে যেমনটা ধারণা করা হয় পরিস্থিতি তার চেয়ে ভয়াবহ। তিনি বলেন, আমরা যে ১৭টি স্থান চিহ্নিত করতে পেরেছি এটা তার মাত্র একটি। সেখানে মাঠপর্যায়ে আসলে কি ঘটছে তা জরুরি ভিত্তিতে উদঘাটন করার জন্য নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের প্রবেশ করতে দেয়া উচিত। স্যাটেলাইটে পাওয়া ওই ছবিতে দেখা গেছে, ওই গ্রামের শতকরা ৯৯ ভাগ পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এর আগে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যে আলাদা ১৭টি স্থান চিহ্নিত করেছিল তার পক্ষে প্রমাণ দেয়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মির মধ্যে লড়াইয়ে এসব বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলে নি, কারা এসব পুড়িয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা পাওয়া উচিত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের, যাতে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ সব বিষয়ে অনুসন্ধান করতে পারে।