আরও দুটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে রোহিঙ্গাবাহী টেকনাফে । গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টা ও আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এই দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ শিশু ও ৯ নারীর লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল আমিন বলেন, রাত একটার দিকে ও সকাল সাতটার দিকে আরও দুটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ওই নৌকা দুটিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও ২২ থেকে ২৫ জন যাত্রী বেশি ছিল। রোহিঙ্গাদের নিয়ে নৌকাগুলো নাফ নদী পেরিয়ে বঙ্গোপসাগর হয়ে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া ও মাঝারপাড়া কূলে ভেড়ানোর আগেই জোয়ারের ধাক্কায় নৌকা দুটি ডুবে যায়। বেশির ভাগ শিশু ও নারী সাঁতরে কূলে উঠতে না পারায় ডুবে মারা যায়। আজ সকাল ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ১৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নুরুল আমিন বলেন, নিহত ব্যক্তিরা মিয়ানমারের মংডু শহরের দংখালী ও ফাতংজা এলাকার বাসিন্দা বলে জীবিত উদ্ধার হওয়া লোকজনের কাছ থেকে জানা গেছে। লাশ উদ্ধারের বিষয়ে টেকনাফ থানার পুলিশ ও বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আরও তিনটি নৌকাডুবির ঘটনায় ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই ছয়জনের মধ্যে তিনজন নারী ও তিনজন শিশু।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মইনউদ্দীন খান বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনার খবর পেয়েছি। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।’কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির খরব পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।