দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে প্রচ্ছন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন । এটাকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নস্যাতের অপতৎপরতা হিসেবে দেখছেন তারা। এই জাতীয় অপতৎপরতা কখনো সফল হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা।
বুধবার রাতে চারু শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করেন তাঁরা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, ড. হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, রামেন্দু মজুমদার, ড. নিম ভৌমিক, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক আবেদ খান, ড. আনোয়ার হোসেন, ড. মিজানুর রহমান, সাংবাদিক রাহাত খান, সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার, মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, শাহরিয়ার কবির, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, রাষ্ট্রদূত ওলিউর রহমান, ড. দূর্গাদাস ভট্টাচার্য, ড. আতিউর রহমান, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, শিল্পী হাসেম খান, শিল্পী রফিকুন্নবী (রণবী), নায়ক ফারুক, নায়ক এম এ আলমগীর, অধ্যাপক নিসার হোসেন, অধ্যাপক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক শফিকুর রহমান, সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন, শিল্পী মো. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, গোলাম কুদ্দুস।
বিবৃতিটিতে বিশিষ্টজনেরা বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সাম্প্রতিক সময়ে প্রদত্ত ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণে কিছু অপ্রাসঙ্গিক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে। ফলে একটি অনভিপ্রেত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে আইনসম্মত, গণতান্ত্রিক সরকারকে প্রচ্ছন্নভাবে হুমকি দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এতে আমরা আরও উদ্বিগ্নবোধ করছি।’
তারা বলেন, ‘রায়ের পরে রায়কে কেন্দ্র করে অত্যন্ত সুকৌশলে নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে একটি অচলাবস্থা তৈরির অপপ্রয়াসও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, কোনো কোনো রাজনৈতিক মহল বিষয়টি নিয়ে অতি উৎসাহী তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। এতে মনে হয় পরিকল্পিতভাবে দেশে একটি কৃত্রিম রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টাও হচ্ছে।’
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আরও উদ্বেগের বিষয় কেউ কেউ বিবৃতি দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির এই অপপ্রয়াসকে প্রকারান্তরে ইন্ধন যোগাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী নাগরিকবৃন্দ অত্যন্ত বিচলিত এবং উদ্বিগ্ন। আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই ধরনের অগণতান্ত্রিক অপচেষ্টা দেশের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না।’
তারাও আরও বলেন, ‘তাই সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে জনগণের কাছে আমাদের আহ্বান, এই অশুভ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সজাগ থাকুন এবং ধৈর্য্য ধারণ করুন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার এই জাতীয় অপতৎপরতা কখনো সফল হতে পারে না।’