র্যাব ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মধ্যম রামপুর এলাকার মোহাম্মদ আলী মিয়ার গ্যারেজ এর সামনে সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৭ কোটি টাকা দামের ১ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ আতিকুল্লাহ (৬৫) নামে সেন্টমার্টিন পরিবহনের চালককে আটক করেছে । এসময় সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৬৫০৩) জব্দ করা হয়।
আটককৃত আতিকুল্লাহ ঢাকার মিরপুর গাবতলী ই-ব্লকের মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের একটি বিশেষ টিম গতকাল (মঙ্গলবার) ভোরে ঢাকাগামী ওই বাসটিকে ধাওয়া করে ফেনীর মধ্যম রামপুরায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আটক করে। অভিযানকালে বাসটির গতিবিধি সন্দেহজনক হলে র্যাব সদস্যরা থামানোর জন্য সংকেত দেয়। এ সময় বাসটি রাস্তার পাশে থামে।
র্যাব জানায়, বাসটির চালক মোঃ আতিকুল্লাহ আতিককে সন্দেহ হওয়ায় উপস্থিত যাত্রীদের সামনে তার দেহ তল্লাশী করা হয়। এসময় চালকের পকেটে পাওয়া যায় ২ হাজার পিস ইয়াবা।এসময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্য এবং দেখানো মতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসটির ভেতরে থাকা রেফ্রিজারেটরের কমপ্রেশারে মিললো আরও ১ লাখ ৪৮ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট।এরপর বাসটি জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং জব্দকৃত বাসের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা বলে জানায় র্যাব।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েত জামিল ফাহিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মধ্যম রামপুর এলাকার মোহাম্মদ আলী মিয়ার গ্যারেজ এর সামনে সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি গাড়িতে তল্লাশি করে চালকের পকেটে ২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরে তাকে ব্যাপক জিঙ্গাসাবাদের পর সে জানায় গাড়ীর শীতাতপ যন্ত্রের কম্পেসারের ভিতর আরো ইয়াবা আছে। পরে সেখানে তল্লাশী করে আরো ১ লাখ ৪৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। জানাগেছে, আতিকুল্লা ইয়াবাগুলো টেকনাফ থেকে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিল। এর আগেও সে এরকম আরো ৬/৭টি চালান ঢাকায় নিয়ে যায়।দৃশ্যত বাস চালক হলেও বাস্তবে তিনি একজন মাদক ব্যবসায়ী।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লীডার শাফায়াত জামিল ফাহিম ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান।
তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।