বিয়ে নয় ওই কিশোরীর কপালে জুটেছে মৃত্যু। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিক শিহাব পারভেজ চারদিন আগে কিশোরী রুমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন।কিন্তু ফিরে এসে ওই কিশোরী ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
নিহত কিরোশীর নাম রুমা (১৬)। সে বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজারের দুলার মিয়ার মেয়ে ও বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
রোববার সকালে নিজ বাসার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত রুমা আক্তারকে মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে গেলে দুপুরে সে মারা যায়।
রুমার বাবা দুলাল মিয়া বলেন, শিহাব পারভেজ নামে প্রতিবেশী এক যুবক গত বুধবার দুপুরে রুমাকে ‘কৌশলে’ বাসা থেকে নিয়ে যায়। পরে রোববার সকালে রুমাকে ফেরত দিয়ে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
এতে রুমা ‘অপমাণিত’ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে দাবি তার দুলাল মিয়ার।
তিনি আরও বলেন, “রুমা বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে আমরা থানায় একটি জিডি করেছিলাম। খবর পেয়ে আজ সকালে রুমাকে আনার জন্য আমি চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে যাই। তখন সেখানে শিহাব ও তার বড় ভাই ছিল।
“রুমাকে আমি বুঝিয়ে বাসায় নিয়ে আসার জন্য অটোরিকশায় উঠালে শিহাব পেছন থেকে রুমাকে বিয়ে করবে না বলে চিৎকার করে জানায়। পরে রুমাকে বাসায় নিয়ে আসলে সে বাড়ির ছাদে উঠে লাফিয়ে পড়ে।”
বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ কবীর হোসেন বলেন, “প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে মেয়েটি প্রতিবেশী এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল বলে শুনেছি।”
ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করার তথ্য জানিয়ে কবীর বলেন, “সকালে মেয়েটি বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আরও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।