যথারীতি তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয় ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে তরল কোকেন মামলায় ফেঁসে যান খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদ।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম আদালতে জামিন না পেয়ে উচ্চ আদালতের দারস্থ হন। চলতি বছর ১১ জুলাই উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পান নূর মোহাম্মদ।

এদিকে আদালত থেকে ছাড়া পেলেও মামলা থেকে বাদ পড়া নূর মোহাম্মদের নামে র‌্যাবের দেয়া সম্পূরক অভিযোগ আদালতে জমা দেওয়াতে শেষ রক্ষা হলো না খান জাহান আলী লিমিটেডের এই কর্ণধারের।

সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান মাদক আইনের মামলায় আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম বাদ দেওয়ায় আদালত ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে র‌্যাবকে দিয়ে আবার তদন্ত করায়। অধিকতর তদন্ত শেষে গত ৩ এপ্রিল নূর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে মাদক মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন র‌্যাব-৭ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী।

বিষয়টি নজরে আসলে ভোজ্যতেলের ঘোষণায় তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় চোরাচালানের ধারায় করা মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র নিয়ে আদালতে নারাজি জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর বুধবার (৯ আগস্ট) রাষ্ট্রপক্ষের ওই নারাজি আবেদন গ্রহণ করে শুনানির জন্য ২৩ অাগস্ট শুনানির দিন রেখেছেন।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী সিটিজিনিউজকে বলেন, যে কোম্পানির আনা সূর্যমুখী তেলের মধ্যে কোকেন এসেছিল, সেই খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়ায় নারাজি জানানো হয়েছে।

‘এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান গত ১৪ মে নূর মোহাম্মদের নাম বাদ দিয়ে আদালতে ওই অভিযোগপত্র দেন।একই ঘটনায় মাদক আইনে করা মামলার তদন্ত শেষেও নূর মোহাম্মদকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পরে আদালতের নির্দেশে র‌্যাব তদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়; সেখানে নূর মোহাম্মদকেও আসামি করা হয়’ বলেন পিপি ফখরুদ্দিন।

‘র‌্যাবের দেওয়া সেই অভিযোগপত্রে বলা হয়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক নূর মোহাম্মদের জ্ঞাতসারেই ভোজ্যতেলের মাধ্যমে তরল কোকেন আনা হয়েছিল।’

এদিকে খান জাহান আলীর মালিক নূর মোহাম্মদ জামিনে আসার পর গত ৬ অগাস্ট শত কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে একটি মামলা করেন। তার দাবি, নিয়ম অনুসরণ না করে তার অজ্ঞাতে ভোজ্যতেলের ওই চালান আনা হয়েছিল।

নিজের প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাসহ তিন ব্যক্তি এবং শিপিং এজেন্ট ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাস ও চালান পাঠানো বিদেশি কোম্পানি মিলিয়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ওই মামলায় বিবাদী করেছেন নূর মোহাম্মদ।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031