৪০০ অস্ত্রের ৩৪টি জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক রংপুর ডিসি অফিসের জিএম শাখা থেকে ডিসির সই জাল করে ও ভুয়া পুলিশ ভেরিফিকেশন দিয়ে ভুয়া লাইসেন্সে নেয়া )।
মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
একই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে ২৮৭টি গুলি। জব্দ অস্ত্র ও গুলি আদালতের মাধ্যমে রংপুর ডিসি অফিসের ট্রেজারিতে জমা করা হয়েছে।
দুদক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, ‘দুদুকের তলব পেয়ে গত দুই দিনে ২৫ জন দুদক অফিসে এসে ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৯৮ রাউন্ড গুলি জমা দিয়েছে। এর আগে ৩ আগস্ট ৯টি অস্ত্র ও ৮৯ রাউন্ড গুলি জমা পড়ে। অস্ত্রগুলোর মধ্যে ৫টি একনালা বন্দুক ও ২৯টি শর্টগান।
কয়েকজন বাদে জমা হওয়া ৩৪টি অস্ত্রের মালিকদের সবাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য বলে জানান দুদক কর্মকর্তা। এসব অস্ত্র রাজশাহী, দিনাজপুর ও ঢাকা থেকে কেনা হয়েছে এবং অধিকাংশই তুরস্কের তৈরি করা।
আতিকুর রহমান জানান, অস্ত্র ও গুলি ছাড়াও এগুলোর লাইসেন্সের কপিসহ অস্ত্র কেনার কাগজপত্রও জব্দ করা হয়েছে। বিকেলে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে অস্ত্র ও গুলি ডিসি অফিসের ট্রেজারিতে জমা দেয়া হয়েছে। অস্ত্র ও কাগজপত্র তারা পরীক্ষা করবেন বলে জানান তিনি।
গত ৫ জুলাই ভুয়া লাইসেন্স দেয়ার মূল হোতা রংপুর ডিসি অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সামসুল ইসলামকে (৪৮) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পিছনের তারিখে ডিসির সই জাল করে, ভুয়া পুলিশ ভেরিফিকেশন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চার শতাধিক ভুয়া অস্ত্রের লাইসেন্স দেন। এসব অভিযোগে দুদক ও কোতোয়ালি থানায় মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।