পশ্চিমা দুনিয়ায় বৃটিশ গ্লামারাস মডেল ক্লোই আইলিং (২০) কে নিয়ে তোলপাড় চলছে । বিশেষ করে বৃটেনে তো প্রতিদিনই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ হচ্ছে রিপোর্ট। কি ঘটেছিল ক্লোই আইলিংয়ের জীবনে! কেন তাকে নিয়ে এত মাতামাতি! এসব প্রশ্নের উত্তর এসেছে বৃটিশ ট্যাবলয়েডগুলোতে। এতে বলা হয়েছে, তাকে ভুয়া ফটোশুটের কথা বলে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া হয় ইতালির মিলানে। এরপর তাকে রগরগে ফটোশুট করতে বাধ্য করা হয়। পর্নো বিষয়ক অনলাইন সার্ভিসগুলোর কাছে তাকে বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। দাম হাঁকানো হয় ২ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ড। তাকে বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করে বৃটিশ বংশোদ্ভূত পোলিশ নাগরিক লুকাস হারবা। তার আগে তার ওপর প্রয়োগ করা হয় নেশাদ্রব্য কেটামিন। হাতকড়া পরিয়ে আটকে রাখা হয়। তারপর একটি সুটকেসে ভরে নিয়ে যাওয়া হয় ইতালির তুরিনে। সেখানে একটি খামারবাড়িতে ৬ দিন আটকে রাখার পর মুক্তি দেয়া হয় তাকে। কারণ, আইলিং ছিলেন এক সন্তানের মা। এমন নারীর বিষয়ে ওই অসাধু চক্র সিরিয়াস। তারা এমন নারীর ওপর অত্যাচার করে না। তাই তাকে ছেড়ে দেয়। নীতি অনুযায়ী, আইলিংকে সঙ্গে নিয়ে লুকাস হারবা চলে যায় মিলানে অবস্থিত বৃটিশ কনসুলেটে। সেখানে পুলিশ হারবাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সে তার অপরাধের কথা স্বীকার করে। এ নিয়ে পরে কথা বলেছেন আইলিং। তিনি বলেছেন, কিভাবে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল, কিভাবে অপরাধী চক্রের হাতে তার দিন কেটেছে, কিভাবে তাকে পর্নো সাইটগুলোর কাছে বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা হয়েছি। আইলিং বলেছেন, আমাকে ভুয়া ফটোশুটের প্রলোভন দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মিলানে। সেখানে আমার ওপর মাদক প্রয়োগ করা হয়। নগ্ন করে ফেলা হয়। একটি সুটকেসে ভরে গাড়িতে তোলার আগে পর্যন্ত আমাকে পরানো হয় হ্যান্ডকাফ। অবশেষে রোববার বৃটেনে ফিরেছেন আইলিং। এরপর বলেছেন, আমি এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সময় পাড় করেছি। জীবন নিয়ে প্রতি সেকেন্ডে আমি শঙ্কিত ছিলাম। উল্লেখ্য, ক্লোই আইলিং বৃটেনের প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য সাইট পেইজ থ্রি’র মডেল। তার প্রতি আকৃষ্ট হয় ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে বসবাসকারী পোল্যান্ডের নাগরিক লুকাস হারবা। তার এজেন্সি মিস আইলিংয়ের মডেলিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে। হারবা নিহেকে একজন ফটোগ্রাফার হিসেবে পরিচয় দেয়। আইলিংকে পরের দিন শহরের একটি ঠিকানা দিয়ে সেখানে যেতে বলে সে। ১০ই জুলাই মিলানের উদ্দেশে উড়ান দেন আইলিং। তিনি ঠিকানামতো হাজির হলে অপহরণকারীরা তাকে আটকে ঘোড়াকে অচেতনকারী কেটামিন নেশাদ্রব্য প্রয়োগ করে তার ওপর ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে। এ সময় অচেতন হয়ে পড়ে তিনি। তাকে নগ্ন করে ফেলা হয়। দু’হাতে ও দু’পায়ে পরানো হয় হ্যান্ডকাফ। মুখ বন্ধ করে দেয় টেপ ব্যবহার করে। এ অবস্থায় তাকে একটি সুটকেসে ভরে গাড়িতে তোলা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় ১২০ মাইল দূরে তুরিনে একটি প্রত্যন্ত খামারবাড়িতে। সেখান থেকে প্রায় এক মাস পরে দক্ষিণ লন্ডনে নিজের পরিবারের কাছে ফিরেছেন আইলিং। তিনি বলেন, কালো গ্লোভস পরা একজন ব্যক্তি মিলানে আমার পিছন থেকে এসে আমার কাঁধের ওপর দিয়ে এক হাত রাখে। আরেক হাত দিয়ে মুখ বন্ধ করে ধরে, যাতে আমি আর্তনাদ বা চিৎকার করতে না পারি। দ্বিতীয় জন আমার ডান পাশের বাহুতে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে। যখন আমার চেতনা ফেরে দেখতে পাই গোলাপী রঙের একটি বডিশুট পরিহিত আমি।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |