সদর উপজেলা প্রকল্প সমন্বয়কারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে মাগুরায় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছয় লক্ষাধিক টাকা । বিষয়টি জানার পর মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে টাকা ফেরত দিয়েছেন সমন্বয়কারী ইমন হোসেন।
মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদরের সরকারি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সদর উপজেলা সমন্বয়কারী ইমন হোসেন প্রকল্পের বিভিন্ন সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজারদের সম্মানি ভাতার টাকাসহ কিছু মাঠকর্মীর বেতনের টাকা উত্তোলন করে সমুদয় টাকা বিধি বহির্ভূতভাবে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছিলেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোপন সূত্রে বিষয়টি জানার পর এ ব্যাপারে তাকে চিঠি দিলে প্রকল্প সমন্বয়কারী ইমন হোসেন সেই টাকা অফিসে ফেরত দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, ওই প্রকল্প সমন্বয়কারী সদর উপজেলার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতার প্রাপ্য টাকা বাবদ দেয়া অর্থের মধ্যে এ বছরের জুন মাসের ১৫ তারিখে ১৪ হাজার টাকা, ১৬ তারিখে এক লাখ ৫৭ হাজার ৬৮০ টাকা এবং ১৭ তারিখে চার লাখ ৬২টি হাজার ৯১২ টাকাসহ মোট ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৯৯২ টাকা উঠিয়ে তা বিতরণ না করে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা রাখেন। এছাড়া এই প্রকল্পের কিছুসংখ্যক কর্মচারীর মার্চ মাসের বেতনের ৪১ হাজার টাকা তুলে সে টাকাও উপজেলা সমন্বয়কারী ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে রাখেন। বিষয়টি জানতে পেরে এক চিঠির মাধ্যমে ওই টাকা বিতরণে অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্প সমন্বয়কারী গত বৃহস্পতিবার ইউএনও অফিসে এসে সমুদয় টাকা ফেরত দেন। প্রকল্পের টাকা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে রাখা এবং ফেরত দেয়ার পর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প সমন্বয়কারী ইমন হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজারদের সম্মানি ভাতা প্রতিমাসে নিয়মিতভাবেই দেয়া হয়। তবে, ঋণের কিস্তি ও সঞ্চয় শতকরা ৭০ ভাগ আদায় না হওয়া পর্যন্ত সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজারদের সম্মানি ভাতা এবং একই সাথে কর্মচারীদের বেতন না দেয়ার জন্য প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশনা থাকায় আমি ওই টাকা নিজ অ্যাকউন্টে জমা রেখেছিলাম। এক্ষেত্রে আমার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।