১৫ আগস্ট ফিরে এলে বার বার মনে পরে সেই পুরনো দিনের কথা।৪২ বছর পার হয়ে গেল। যদিও আমি এখন আর বাংলাদেশি রাজনীতির সাথে জড়িত নই। সুইডেনের মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয়। তবুও কখনো কখনো স্মৃতির পাতায় ভেসে আসে আমার অতীত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আর আমার ছাত্র জীবনের রাজনৈতিক নেতা শেখ কামাল ভাইয়ের কথা।

আমার ঘ নিষ্ট রাজনৈতিক বন্ধুবান্ধব সুইডিশ জাতীয় সংসদের সদস্যরা যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তোমার রাজনৈতিক আদর্শ কী? আমি তখন বলি আমার রাজনৈতিক আদর্শ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। যিনি বাংলাদেশকে একটি সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সাম্রাজ্যবাদী দালালদের হাতে নিষ্ঠুরভাবে নিহত হনl বিশাল মনের অধিকারী বাঙালি জাতির নেতা বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ও পাশবিক হত্যা আন্তর্জাতিকভাবে বাঙালির সন্মান, মর্যাদা, আত্মঅহংকার হননের স্মারক। এই হত্যা অসভ্য ও বর্বতার প্রতীক, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর এই হত্যা দলীয় সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা যুক্তিসঙ্গত নয়। কেন না তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার নায়ক। একক কর্ণধার। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যারা বিশ্বাস করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা ধারণ করেন, তাদের কাছে তিনি অবিসংবাদিত নেতা, এক ও অভিন্ন চেতনার শক্তি।

আমরা তখন সোবহানবাগ সরকারি কলোনিতে থাকতাম। এই বাসাটা পাওয়ার পেছনেও রয়েছে বঙ্গবন্ধুর সরাসরি অবদান। আমার বাবা আলী মেহেদী খান ওই সময় বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা অফিসার ছিলেন। প্রতিদিন একই গাড়িতে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার থেকে বঙ্গবন্ধু গণভবনে যাওয়ার সময় সামনের সিটে বসতেন বাবা। এই সময় অনেক কোথায় হতো গাড়িতে।

একদিন কোথায় কোথায় বঙ্গবন্ধু বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মেহেদী সাহেব আপনার ছেলে মেয়ে কয়জন?’ বাবার উত্তর ‘আটজন স্যার।’

‘ আপনি থাকেন কোথায়?’

‘কলাবাগান ফাস্ট ল্যানল স্যারl’

‘কয় রুমের বাসা?’

‘ছোট ছোট তিন রুমের বাসা স্যারl’

‘বলেন কি!  আপনি আট ছেলে মেয়ে নিয়ে একটি ছোট তিন রুমের বাসায় থাকেন?’

 বাবা নিশ্চুপl গণভবনে এসে নেতার রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদকে (তোফায়েল ভাই) ডাক দিয়ে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘মেহেদী সাহেব ওনার ছেলে মেয়ে নিয়ে একটি ছোট্ট বাড়িতে খুব কষ্টে আছেনi তুমি ইমিডিয়েট ওনার জন্য একটি সরকারি কোয়ার্টারের ব্যবস্থা করোl’

তোফায়েল ভাই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমাদের পরিবারের জন্য সোবহানবাগ সরকারি কলোনিতে দ্রুত বাসার ব্যবস্থা করে দিলেন। বঙ্গবন্ধুর বাসা ৩২ নাম্বার আর সোবানবাগ কলোনি খুব কাছাকাছি। মিরপুর রোডের রাস্তার এপার আর ওপার। বঙ্গবন্ধুর সহযোগিতায় সেদিন আমাদের ঠাঁই হয়েছিল সোবানবাগ কলোনিতে।

১৫ আগস্টের স্মৃতি নিয়ে এর আগেও আমি পত্রিকায় লিখেছি। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে শোকাবহ দিন। এই দিনে বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংষ্কৃতি ও বাঙালিত্বের চেতনা তথা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতার বাহক বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকার, জাতির হাজার বছরের সংগ্রাম ও সাধনার সূত্রধর, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাতের অন্ধকারে শিশুপুত্র রাসেলসহ স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

ওই দিনটি ছিল শুক্রবার। মুসলিম জাতির একটি পবিত্র দিন। সেদিন ভোরে মুয়াজ্জিনের আজানের পরপরই ঢাকাবাসী শুনতে পায় প্রচণ্ড গুলির শব্দ। সোবহানবাগ মসজিদে সেদিন গুলির শব্দে অনেকেই আর ফজরের নামাজে যেতে সাহস করেনি। আমাদের বাসার আসে পাশে থেমে থেমে শুধু গুলির শব্দ। বাসাটা ছিল নিচের তালায়। প্রাণ রক্ষায় আমরা সবাই ঘরের মেঝেতে শুয়ে পড়ি। মাঝে মাঝে প্রচণ্ড শব্দে ঘর কেঁপে উঠছিল।

হঠাৎ জানলা দিয়ে দেখতে পেলাম টিনের গ্রেজের ছাদের উপর কালো পোশাকধারী সৈনিক। দেখে মনে হলো আর্টিলারির সেপাই। হাতে তাদের ভারী অস্ত্র। এর মাঝে মোহাম্মদপুর থেকে ছোটো ফুফুর টেলিফোন এল। বললেন, ‘রেডিও শুন।’ রেডিও খুলতেই আওয়াজ, ‘আমি মেজর ডালিম বলছি। শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে। সারা দেশে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে।’

কিছুক্ষণ পর পর রেডিওতে একই  ঘোষণা। আমাদের বাসার দেওয়ালের ওপর পাশে মিরপুর রোড। হটাৎ একটি গাড়ি ব্রেক করে থামার শব্দ শুনলাম। সাথে সাথে মিলিটারিদের দৌঁড়াদৌঁড়ি  হল্ট ও গুলির শব্দ। তারপর সব নীরব। সকালে যে গাড়ি থামার শব্দ শুনেছিলাম সেটা ছিল কর্নেল শাফায়েত জামিলের গাড়ি এবং তাকে গুলি করে মারার শব্দ। মসজিদের সামনে খুন করতেও ভয় পায়নি খুনিরা।

খুব শিগগির খান আতা খুনি মিলিটারিদের সমর্থনে গান রচনা করে ফেলেন যা কয়েকজন সুপরিচিত শিল্পীর কন্ঠে রেকর্ড করে সাথে সাথে  রেডিওতে প্রচার করা হয়। খান আতা না ফেরার দেশে চলে গেলেও  এসকল শিল্পীরা এখনো বর্তমান।

দুপুরে জুম্মার নামাজের জন্য কিছু সময় সান্ধ্য আইন শিথিল করা হলো। নামাজ পড়ার  জন্য কলোনির ওপারে সোবহানবাগ মসজিদে পরিচিত অনেকের সাথে দেখা। এখানেই জানতে পারলাম কর্নেল শাফায়েত জামিল হত্যার কথা। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ওনাকে নিজের গাড়িতে বসা অবস্থায় পবিত্র মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে তিনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে ছুটে এসেছিলেন।

কর্নেল শাফায়েত জামিলের স্ত্রী মিডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাসায় যাওয়ার আগে শাফায়েত জামিলের সাথে জিয়ার টেলিফোনে কথা হয়l জিয়া তাকে সেখানে যেতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু কেন? এই কেনর উত্তর পরে জিয়ার ক্ষমতা দখল, তাহের হত্যা ও রাজনৈতিক ভূমিকা দেখেই পরিষ্কার হয়ে উঠে।

 ১৫ আগস্ট আমাদের জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে শোকাবহ দিন। এই দিনে বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংষ্কৃতি ও বাঙালিত্বের চেতনা তথা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতার বাহক বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকার, জাতির হাজার বছরের সংগ্রাম ও সাধনার সূত্রধর, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাতের অন্ধকারে শিশুপুত্র রাসেলসহ সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী চক্র ১৫ আগস্ট পচাত্তরের পরবর্তীতে বাংলাদেশের ইতিহাসকে করে বিকৃত। একটি স্বাধীন দেশে সামরিক ও আধা সামরিক শাসন চলেছে বছরের পর বছর।

আমরা যারা নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে মনে করি, যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, যারা বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে গর্ব করি তাদের কাছে সবসময় শুধু একটাই প্রশ্ন বার বার জেগে উঠে, মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার হওয়া সত্ত্বে জেনারেল জিয়াউর রহমান কেন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সরিয়ে দিলেন? তাহলে কি তিনি মুক্তিযুদ্ধে একজন অনুপ্রবেশকারী ছিলেন?

জিয়াউর রহমান সম্পর্কে সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব:) শওকত আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আমি ও তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান সফিউল্লাহর সামনে জিয়া বলেছিলেন, ‘স্যার, কোনো বুলেট আপনার বুকে আঘাত করার পূর্বে আমার বুক বিদ্ধ হবে। কি সাংঘাতিক কথা! অথচ বাস্তব ছিল ভিন্নl  তিনি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে তো দূরের কথা উল্টো  জাতির জনকের স্বঘোষিত খুনিদের বিভিন্ন দুতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। অন্যদিকে জিয়ার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জন্ম তারিখ বদলিয়ে এখন পর্যন্ত  পালন করে  চলছেন ১৫ আগস্ট তার মিথ্যা জন্মদিন।

শুনা যায়, জিয়াউর রহমান নাকি একসময় বলেছিলেন যারা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল তাদের তিনি বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে পারেন না। এই কথার পরিপেক্ষিতে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে বঙ্গোপসাগরে ফেলে না দিয়ে এসকল রাজাকারদের কি আপনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে দেবেন?

জিয়া  গণতন্ত্রের ধুয়া তুলে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের রাজনীতি করার অনুমতি দিয়েছেন। এভাবে রাজাকার পুনর্বাসনে জিয়া যে কাজটি করে গেছেন তার উত্তরসুরী বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও পুত্র তারেক রহমান আরও একধাপ এগিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়ালেন এবং এখনও তাদেরকে পাশে রেখে রাজনীতি  করছেন।

আশ্চর্য মিথ্যাচার, মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার কি অদ্ভূত প্রলাপ! সবচেয়ে অবাক লাগে এসকল যুদ্ধাপরাধীরা এখনো প্রকাশ্যে বলছে, ৭১ সালে তারা ভুল করেনি। পাকিস্তানকে রক্ষার জন্য তারা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বাঙালি হয়ে বাঙালির বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে রক্ষার জন্যই যদি তাঁরা যুদ্ধ করে থাকেন তাহলে তো তাদের এখন পাকিস্তানেই থাকার কথা, স্বাধীন বাংলাদেশে নয়।

বঙ্গবন্ধুকে সবসময় তার ঘনিষ্ট মহল ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা পরামর্শ দিয়েছেন, ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বাড়ি ছেড়ে গণভবনে আসার জন্য। কিন্তু এই মহান নেতা সকলের কথা উপেক্ষা করে ৩২ নাম্বার রোডে তার নিজ বাড়িতে থাকতেন। বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন, ‘বাঙালিরা আমাকে মারবে না।’ বাঙালির উপর কি বিরাট আত্মবিশ্বাস এই মহান নেতার।

বাংলাদেশের মানুষের নেতা বঙ্গবন্ধু। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অনিবার্য করে তুলেছিলেন। ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর কারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের উপর আঘাত করেছিল তা বের করা কোনো কঠিন কাজ নয়। কারণ ১৫ আগস্ট পরবর্তীতে তাদের চেহারা জনসন্মুখে উন্মোচন হয়েছে। প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে তারা এই নির্মম হত্যাকে। ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা জন্ম তারিখ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে কেক কেটে আনন্দ উল্লাসে পালন করা হচ্ছে ১৫ আগস্ট। অথচ এই দিন বাঙালি জাতি পালন করছে জাতীয় শোক দিবস।

জানি না লন্ডনে বসে এবার তিনি কি করবেন। এ ব্যাপারে বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা আমাকে বলেছেন, ‘আমরা ম্যাডামকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি, বলেছি বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন তো বিএনপি সৃষ্টি হয়নি। সুতরাং আমাদের এ সকল হত্যাকারীদের পক্ষ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে কি? আর ১৫ আগস্ট আপনার জন্ম তারিখ এভাবে বড় করে পালন না করে অন্য ভাবেও তো পালন করা যায়। কিন্তু তার আশেপাশের কিছু লোকের প্ররোচনায় ম্যাডাম আমাদের কথা শুনতে রাজি নন।’

দলীয় নীতি আদর্শের দিক থেকে ভিন্নতা থাকতে পারে, ভিন্নতা থাকতে পারে দৃষ্টিভঙ্গীর। কিন্তু তাই বলে বাঙালি জাতির জন্য তার যে অবিস্মরণীয় অবদান তা আমরা কখনো কেউ অস্বীকার করতে পারি না। বঙ্গবন্ধুকে তার প্রাপ্য মর্যাদা আমাদেরকে দিতেই হবে। আমাদের প্রত্যাশা আর বিভক্তি নয়। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের এই সংগ্রামে আমরা জয়ী হবো ইনশাল্লাহ। জয় আমাদের হবেই। কারণ আমরা সত্যের প্রতীক।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতি আর ফিরে পাবে না। তবে তার অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব এখন এসে পড়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। ৯৬, ২০০৮ ও পরবর্তীতে ২০১৩ ক্ষমতায় এসে তিনি জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার অনেক কিছুই ইতিমধ্যে পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। দেখা যাক এখন বাকি কাজ পূরণে আগামী নির্বাচনে জনগনের সমর্থন আদায়ে তিনি কতটুকু সফল হতে পারেন।

লেখক: কাউন্টি কাউন্সিলার স্টকহোম কাউন্টি কাউন্সিল, সুইডিশ লেফট পার্টি

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031