হাইকোর্ট সদ্য জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে গণ্য করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে ।
এ সংক্রান্ত এক রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
এছাড়াও তাদেরকে কেন প্রধান শিক্ষক হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিবসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।
ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন ২০১৩ সালের ২০ জানুয়ায়ি জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপন পরবর্তী সময়ে ২৪ জুলাই ২০১৩ এ সংশোধন করা হয়। সংশোধিত প্রজ্ঞাপনের ৪(২)ঘ-ধারায় বলা হয় জাতীয়করণকৃত প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের জন্য একজন প্রধান শিক্ষক ও চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হবে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের এভাব সৃজিত পদের বিপরিতে আত্মীকণের পর অবশিষ্ট পদে নতুন নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
রিটকারীদের পক্ষের এ আইনজীবী বলেন, এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রধান শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে গন্য করে আত্মীকরণ করা হয়। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। জাতীয়করণের পূর্বে কর্মরত প্রধান শিক্ষক নেত্রকোনার আবুল বাসার, গাজীপুরের আবদুল মালেক, কুমিল্লার খোরশেদ আলমসহ ৮৮জন শিক্ষক বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করেন।
আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ বলেন, প্রথম থাপে ২২ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণে কর্মরতরা যে অবস্থায় ছিলেন সে অবস্থায়ই নিয়োগ পান। পরবর্তী ধাপে জাতীয়করণের পর প্রধান শিক্ষকদের তাদের পদের পরিবের্তে সহকারী শিক্ষক পদে আত্মীকরণ করা হয়।