ঈদের আগের ঘটনা গত রমজানের । সেন্সর বোর্ড সদস্য ও ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা সিনেমা হলের স্বত্বাধিকারী ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের উপর হামলা করা হয়। সেন্সরবোর্ডের সামনে এই হামলার ঘটনার পর তিনি গণমাধ্যমে পরিচালক বদিউল আলম খোকন, মিশা সওদাগর, রিয়াজ ও প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু তার গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ করেন। এবার একমাস পর সেই হামলার ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, তার ওপর প্রথম হামলা করেছিলেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। লাঞ্ছিত হওয়ার পর পুলিশ নওশাদকে সেন্সরবোর্ড অফিসে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষুব্ধ কয়েকজন নওশাদের গায়ে আবারও হাত তোলেন। যৌথ প্রযোজনার অনিয়ম বন্ধের দাবিতে গত ২১শে জুন সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করে ‘চলচ্চিত্র পরিবার’ নামের ১৮ সংগঠনের ঐক্যজোট। সেখানেই এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হন ইফতেখারউদ্দিন নওশাদ। ভিডিওটি প্রকাশের পর ইফতেখারউদ্দিন নওশাদ মানবজমিনকে বলেন, আমি যৌথ প্রযোজনার ছবি দুটির (নবাব ও বস-টু) প্রিভিউ করতে সেন্সর বোর্ডে যাচ্ছিলাম। বোর্ডের সদস্য হিসেবে আমি সরকারি কাজে সেখানে যাওয়ার পর সেন্সর বোর্ডের মূল ফটকের সামনে আমার উপর হামলা করেন প্রযোজক খসরু।
সেই সময় সেখানে পরিচালক বদিউল আলম খোকন, মিশা সওদাগর ও চিত্রনায়ক রিয়াজও ছিলেন। তারা আমাকে আঘাত করার পর অন্যরা চলে আসেন। বর্তমানে ওই ঘটনার এক ও দেড় মিনিটের আরও দুটি ভিডিওচিত্র পাওয়া গেছে। এখন সকলে ভিডিওটি দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমি এর বিচার চাই। ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, ফোনে কথা বলতে বলতে সেন্সর বোর্ডের দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন নওশাদ। পাশ থেকে ভিড় ঠেলে এগিয়ে আসেন খসরু। তিনি দুই হাতে নওশাদকে সামনে টেনে আনেন। এরপর জোরে ধাক্কা দিতে দিতে ক্ষুব্ধ কর্মীর ভিড়ের দিকে ঠেলে দেন। শেষের দিকে ডান হাতে একটা থাবা দেওয়ার ভঙ্গিও ভিডিওতে দেখা গেছে। বিষয়টি জানতে প্রযোজক খসরুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের ওপর হামলায় অভিযোগে সম্প্রতি চিত্রনায়ক রিয়াজ, খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ও খোরশেদ আলম খসরু প্রযোজিত সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন না করার সিদ্ধান্ত নেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা।
হামলার ভিডিও :