প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কাছে হস্তান্তর করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেটের খসড়া কপি । আজ বৃহস্পতিবার বিকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুপ্রিম কোর্টে এসে এটি হস্তান্তর করেন বলে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী আজ প্রধান বিচাপতির কাছে এটি হস্তান্তর করেছেন। বিকেল পৌনে চারটার দিকে তিনি এসেছিলেন। সাড়ে চারটার দিকে তিনি গেছেন।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেয়া আপিল বিভাগের আগামী রবিবারের কার্যতালিকায় বিষয়টি এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশে সরকার অসংখ্যবার সময় নিয়েছেন। সর্বশেষ গত ২৩ জুলাই আপিল বিভাগ এক সপ্তাহ সময় দেন।
নিম্ন আদালতের বিচারকদের বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ নিয়ে গত ১৬ ও ২০ জুলাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন আইনমন্ত্রী। গত ২০ জুলাই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যে আলোচনায় যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। এই ডিসিপ্লিনারি রুলস (শৃঙ্খলা বিধিমালা) গেজেট করার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।
গত ১৬ জুলাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, আগামী সপ্তাহে বিধিমালা চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছি।
আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়।
ওই বছরের ২৮ আগষ্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানান, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়।