পুলিশ চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গাছের সাথে ঝুলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ। তার নাম উম্মে সাহিদা সুলতানা নীলা (২৪) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মেখল ইউনিয়নের মোজাফফরপুর এলাকা থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।
নিহত নীলা ওই গ্রামের ওয়াহেদ ফকির বাড়ীর মৃত সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমানের পুত্র অটোরিক্সা চালক খোরশেদুল আলম রুবেলের স্ত্রী ও নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের জামাল গোমস্তা বাড়ীর মোঃ নুরুচ্ছফার কন্যা।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় নীলা নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ লাশটি থানায় নিয়ে এসেছে। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। পরিবার থেকে বলা হয়েছে নীলা আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
নীলার পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, ৯ বছর পূর্বে সম্পর্কের মাধ্যমে নীলাকে বিয়ে করে রুবেল। এতে নীলার পরিবারের সম্মতি ছিলো না। তাদের দাম্পত্য জীবনে ইমন (৭) ও নিষ্পা (৫) নামে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। দুই পরিবারের মধ্যে তেমন একটা আসা-যাওয়া ছিলোনা। তাদের মধ্যে প্রায় সময় দাম্পত্য কলহ লেগে থাকতো।
এমতাবস্থায় ১৬দিন পূর্বে পরকিয়া প্রেমের জের ধরে মির্জাপুর ইউনিয়নের চা দোকানের কর্মচারী রহিমের (৩৫) সাথে পালিয়ে যায় নীলা। পরে তাদের খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চৌধুরীহাট বণিক পাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে রুবেল ও তার পরিচিতরা। তাদেরকে মোজাফফরপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকায় নিয়ে আসে। এসময় রুবেল উত্তেজিত হয়ে রহিমকে পিটুনি দেয়। রহিমকে নিয়ে ব্যস্থ থাকার এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে আত্মগোপণে চলে যায় নীলা।
রহিমকে স্থানীয় মেম্বারের পরামর্শে থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে সকালে মসজিদের বড় পুকুরের উত্তরের পাড়ে জারুল গাছের সাথে গলায় শাড়ি পেঁছানো ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের এস আই নজরুল গাজী তার লাশ উদ্ধার করে।
এস আই নজরুল বলেন, নীলার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নীলার স্বামী খোরশেদুল আলম রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, রহিমের সাথে পরকিয়া ছিলো নীলার। পালিয়ে যাওয়ার পর তাদেরকে ধরে আনি। রহিমকে থানায় সোপর্দ করি। নীলা ঘটনাস্থল থেকে আত্মগোপণে গেলে অনেক খোঁজাখুজি করি। পরে সকালে গাছের সাথে তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়