র্যাবের অভিযানে অবশেষে সেসব অপরাধীদের মুখোস উন্মচিত হয়েছে। ভুয়া আইডি ব্যবহারের কারণে নি:স্ব সাধারণ মানুষ সেইসব অপরাধীদেরকে চেনার বা দেখার সুযোগ পায়নি। পর্দার আড়ালে থাকা সেসব অপরাধীদের খোঁজ খবর নেওয়ার পর বের হয়ে আসে অনেক তথ্য। ফেইসবুকে ব্রিটিশ নাগরিকেরদের ছবি ও নাম দিয়ে ভুয়া আইডি খুলে বাংলাদেশীদের সাথে বন্ধুত্ব করেন বেশ কিছু আফ্রিকান নাগরিক।
পরিচয় গোপন করে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে ভাইবার ও ট্যাঙ্গসহ নানা কিছুর মাধ্যমে যোগাযোগ রাখে। গভীর বন্ধুত্বের এক পর্যায় ব্রিটেন থেকে মূল্যবান উপহার বা পার্সেল পাঠাবার কথা বলে অভিনবো কায়দায় টাকা হাতিয়ে নেওয়া শুরু করে। র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিটের কাছে খবর ছিল চক্রের সদস্যরা বসবাস করে ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায়।
অপরাধীদের ধরার সকল প্রস্তুতি শেষ করে, তাদের ধরার জন্য রাতে অভিযান চালন। প্রথম গ্রুপের অবস্থান নিশ্চত হবার পর র্যাবের অন্য দলটি অবস্থান নেন নিরাপদ দূরুত্বে।
রাজধানীর বসুন্ধরার ‘ডি’ ব্লকের একটি ফ্লাটের সন্ধান শুরু করে র্যাব। অপরাধী চক্রের বেশ কয়েকজন ঐ ফ্লাটে অবস্থান করছে নিশ্চিত এমন তথ্য ছিল র্যাবের কাছে। কিছু বুঝে ওঠার আগে তারা হামলাও করতে পারে এমন তথ্য জানার পর নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হয়। বাহির থেকে শব্দ শুনে ভেতর থেকে দরজা খুলে দেন একজন আফ্রিকান নারী। এর পরে র্যাব সদস্যরা একে একে ঢুকে পড়ে ফ্লাটে। তল্লাশি করে পাওয়া যায় বেশ কিছু আলামত। অপরাধী চক্রের প্রধান কেসি বলেন, তিনি বাংলাদেশী এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন ।
তার স্ত্রী এখন সন্তান সম্ভবা। তিনি পড়ালেখা করছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি এইক অপরাধ চক্রের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তাদের সাথে নারী সদস্যরাও থাকে। কেসির দেওয়া তথ্য মতে আটক হয় চক্রের আরও ৫ সদস্য। এরা শুধু এই অপরাধই করেন না। তারা মাদক ব্যবসাও করেন।
আর এসব করা হয় উত্তরার একটি ফ্লাট থেকে। এদিকে আটক কালে কারও কোন সঠিক কাগজ তারা দেখাতে পারেনি। অপরাধী চক্রের কাছে অনেকে টাকা দিয়ে নি:স্ব হয়েছে অনেক মানুষ।