আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তথ্য ও প্রযুক্তি সুরক্ষা আইনের ৫৭ ধারা বর্তমান রূপে থাকবে না বলে জানিয়েছেন । বলেছেন, ৫৭ ধারার অপরাধগুলো অপরাধই। তবে এ ধারার বর্তমান রূপ থাকবে না।
বুধবার বিকালে রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ৫৭ ধারার যে অপরাধ, সেগুলো অপরাধই। সে অপরাধগুলোকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এগুলোকে একেবারে বাদ দেয়া যায় না। তবে এ আইনে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হয়, সেটি আমরা সুনিশ্চিত করবো। ৫৭ ধারার এই রূপও থাকবে না।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলকে জানানো হয়। তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং এখন তিনি ফেরারি। তাকে দেশের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
ভবন উদ্বোধন শেষে আইনমন্ত্রী আদালত প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-২ আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা ও সংরক্ষিত আসনের এমপি আক্তার জাহান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল ইসলামসহ রাজশাহীর বিভিন্ন আদালতের বিচারক, আইনজীবী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ও দায়রা জজ মুহম্মদ মাহবুব-উল-হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল-আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। এ সমাবেশের আগে আইনমন্ত্রী নতুন ভবনের ফলক উন্মোচন করেন। পরে তিনি বেলুন উড়িয়ে ভবনটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ভবনের সামনে একটি গাছের চারা রোপন করেন। বিকালে তার রাজশাহীর আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে।
রাজশাহী আদালতে এজলাস সংকট দূর করতে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের পাশে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনটি নির্মাণ করা হলো। ভবনটি ১২ তলা হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত তা হয়েছে ৯ তলা। এই ভবনে বিভিন্ন সুবিধাসহ রয়েছে ১০টি এজলাস।