আদালত ডেমরা জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) ইফতেখারুল ইসলাম ও ১২ পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা মামলা তদন্ত করতে রাজধানীর ওয়ারী জোনের ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছে ।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম এ আদেশ দেন।

গত ১২ জুলাই মিসেস শাহনা আক্তার নামে এক নারী এ মামলা করেন। ওইদিন বিচারক বাদিনীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (প্রশাসন) আনিসুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ, এসআই জাকির হোসেন, ওমর ফারুক, কবির হোসেন উকিল, শাহীন পারভেজ, লক্ষীকান্ত রায়, শহীদুল্লাহ, কেএম এনায়েত হোসেন, এএসআই আতোয়ার রহমান, কনস্টেবল সাইফুল, পুলিশের সোর্স খোকন ও সুমন।

মামলায় বাদিনীর অভিযোগ, তার স্বামী ফরমান উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে দেন। কিন্তু তিনি যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ, পেশাদার মাদকব্যবসায়ী এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে দেখতে পান। এরপর গত ৫ মে, গত ৮ জুন ও গত ১৬ জুন ডাকযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে ওই সংক্রান্ত পৃথক তিনটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে আসামিরা তাকে ফোন করে থানায় নিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। তা না হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুকি দেয়া হয়। এরপর গত ২১ জুন বাদীর স্বামীকে ওয়ারী থানাধীন রাজধানী সুপার মার্কেট থেকে আসামিরা তাকে টেনে হিঁছড়ে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। বাদী ওয়ারী জোনের ডিসি ফরিদকে বিষয়টি জানালে তিনি আসামি ইফতেখারুলকে ফোন করে তাকে ছেড়ে দিতে বলেন এবং বাদীকে থানায় গিয়ে তার স্বামীকে নিয়ে আসতে বলেন।

বাদিনী থানায় গেলে আসামি ইফতেখারুল ডিসি ফরিদকে গালিগালাজ করে নিজেকে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের মেয়ের জামাই পরিচয় দেন এবং  বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চর-থাপ্পড় মারেন। ওই সময় বাদী তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলে ইফতেখারুল তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে ছয় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর বাদী তাদের দুই লাখ টাকা দেন।

এর আগেই আসামিরা বাদীর স্বামীকে মারধর করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বাদী সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তার স্বামীকে মাদকের তিনটি মিথ্যা মামলায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বাদীর স্বামী কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাদী মামলার বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ করেন, তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাদী আদালতে মামলাটি করেন।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031