প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে মন্তব্যে মন্ত্রী ও নেতাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন । এ ব্যাপারে ‘অতি উৎসাহী’ মন্তব্য না করতে বলেছেন তিনি।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভায় উপস্থিত একজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপের বিষয়টি আসে। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোডম্যাপ ইসির বিষয়। এটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আপনারা কোনো মন্তব্য করবেন না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই রোডম্যাপ বাস্তবায়ন ও কার্যকারিতা দেখতে হবে। এজন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। কাজেই আগে থেকে এ বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
আগামী বছরের শেষ নাগাদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গতকাল রবিবার একটি রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইন সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র, ইসির সক্ষমতা বাড়ানো, সবার জন্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি ও ইভিএম নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে এই রোডম্যাপে।
২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবরের পর শুরু হবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা।
এদিকে আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরের বিষয়টিও অনির্ধারিত আলোচনায় ওঠে আসে। মন্ত্রিসভার এক সদস্য ‘মশকরা’ করে বলেন, ‘উনি (খালেদা) গেছেন, কিন্তু সাজার ভয়ে আসবেন কি না, কেউ জানে না।’ তবে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।
চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগত এক সফরে গতকাল যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া। প্রায় দুই মাস তিনি সেখানে অবস্থান করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। ব্যক্তিগত এই সফরের ফাঁকে ফাঁকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এজন্য ব্যক্তিগত সফর হলেও এটাকে রাজনৈতিকভাবে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।