কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, এর আগে ২০টি উপজেলা ছিল বিশেষ এলাকা। এবার আরও ১০টি এলাকা চিহ্নিত করেছি। এই ৩০টি এলাকার জন্য বিশেষ কমিটি রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার প্রবণতা রোধে এসব বিশেষ এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে নতুন করে কোন ১০টি উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সচিব তা উল্লেখ করেননি।
ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা প্রবেশের বিষয়ে সচিব বলেন, বিশেষ এলাকার যে কার্য পরিধি আছে, সেখানে কমিটির কাজ নির্ধারিত করা আছে। বিদেশি নাগরিকরা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারেন, সে বিষয়ে তারা পদক্ষেপ নিতে পারবেন। বিশেষ এলাকায় ভোটার হতে চাইলে কমিটি ভোটারের বাবা-মায়ের আইডি দেখবে, ফুফু-চাচার আইডি দেখবে। এসব না থাকলে বা বিদেশি নাগরিক প্রমাণ পেলে কোনও লোক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না।
ইসি সচিব আরও জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য সাত পর্যায়ে সাত ধরনের কমিটি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি, বিভাগীয় কমিটি, জেলা, উপজেলা, বিশেষ এলাকার জন্য আদালা কমিটি, সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য কমিটি, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার জন্য কমিটি আছে। এবারের ভোটার তালিকায় বাদ পড়া ৩৫ লাখ ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। সারা বছরই যে কাউকে নতুন করে ভোটার তালিকাভুক্ত করা যাবে। এছাড়া যে কেউ সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন, সংযোজন-বিয়োজন করতে পারবেন। কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে যেকোও সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে আবেদন করতে পারবেন। নারী ভোটার বাড়ানোর বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, নারী ভোটার বাড়ানোর জন্য আমরা বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী এবং সচিবের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছি। এছাড়া নারী নেতৃত্বে যারা আছেন, বিশেষ করে নারী জনপ্রতিনিধি ও এনজিও কর্মীদের কাছে এই কার্যক্রমে আমরা সহযোগিতা চেয়েছি।
সভায় সকল বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কাজ শুরু হবে। যাদের বয়স ১ জানুয়ারি ২০০০ বা তার আগে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, এবার তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তথ্য সংগ্রহের পর তিনটি ধাপে ডিসেম্বরের মধ্যে নাগরিকদের ছবি ও তথ্য নিবন্ধন করা হবে। ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। হালনাগাদে ঠিকানা স্থানান্তর ও মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হবে। তবে তথ্য হালনাগাদে নাম সংশোধনের বিষয়টি রাখা হয়নি। নাম বা অন্য যেকোনও সংশোধনের জন্য যেকোনও দিন নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। আর এটা সারা বছরই করা যাবে।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031