মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের আর কোনো কর্মীকে আটক করা হবে না প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, । মালয়েশিয়ায় সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরে ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ভবনের সম্মেলন কক্ষে রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেশন (আরবিএম) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরবিএম-এর সভাপতি ফিরোজ মান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমদ। বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজা বিশেষ অতিথি হিসেবে সেমিনারে বক্তব্য দেন।
সংগঠনের সাধারণ সস্পাদক মাসুদুল হকের পরিচালনায় সেমিনারে ‘লেবার মার্কেট সিচোয়েশন ইন মালয়েশিয়া অ্যান্ড মিডলইস্ট কান্ট্রিজ: প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য মহসীন উল করিম।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু হয়। অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের অস্থায়ী কাজের সুযোগ দিয়ে বৈধতা দেয়ার বিশেষ কর্মসূচি ই-কার্ডে (এনফোর্সমেন্ট কার্ড) নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধনে ব্যর্থ শ্রমিকদের ধরতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আটক শ্রমিকদের বেশির ভাগ বাংলাদেশি।
ব্যক্তিগত সফরে মালয়েশিয়ায় অবস্থানের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেখানে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। মিশনের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার সরকারের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।
গত দুই বছর দায়িত্ব পালনকালে জাপানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো হচ্ছে এবং আরও নতুন নতুন শ্রমবাজারের দ্বার খোলা হবে বলে মন্ত্রী সেমিনারে জানান।
জাবেদ আহমদ বলেন, মালয়েশিয়া সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশের দুই লাখ ৫০ হাজার অবৈধ শ্রমিককে রিহায়ারিং কোটায় বৈধতা দিয়েছে। মালয়েশিয়া সরকার জি টু জি মাধ্যমে ২২ হাজার শ্রমিক নেয়ার চাহিদাপত্র দিয়েছে। এরমধ্যে প্রায় আট হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়ায় গিয়েছে। জি টু জি মাধ্যমে বনায়ন ও কৃষি কাজের জন্য যারা বৈধভাবে যান তাদের কাছ থেকে সরকারিভাবে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা নেয়া হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।
সেলিম রেজা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে নারী কর্মীদের বিদেশ যেতে এখন কোনো টাকা দিতে হয় না। ভবিষ্যতে পুরুষ কর্মীদেরও বিদেশে যেতে টাকা দিতে হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।