ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ইয়াবা ধরার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সোর্সকে টাকার বদলে ইয়াবা দেওয়ার কথা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।  শোনা এই কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং র‌্যাব মহাপরিচালককে অনুরোধও জানিয়েছেন।

শনিবার (১৫ জুলাই) র‌্যাব-৭ এর জব্দ করা মাদক ধ্বংস কর্মসূচিতে জাবেদ বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলরা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেসব সোর্স দিয়ে ইয়াবা ধরেন, সেই সোর্সদের টাকা না দিয়ে নাকি ইয়াবা দিচ্ছেন।  সোর্স মানির বদলে ইয়াবা, এটা তো মারাত্মক ব্যাপার।  টাকা না দিয়ে ইয়াবা দেবেন কেন।  তাহলে তো আর ইয়াবা ধরে কোন লাভ হলো না।

বিষয়টি শুনেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি শুনেছি।  সত্য-মিথ্যা আমি জানি না।  যদি সত্য হয়, তাহলে এই সিস্টেম বন্ধ হওয়া দরকার।  আর যদি সত্য না হয় তাহলে আমার কোন বক্তব্য নেই।  তবে এটার সত্যতা যাচাই করা প্রশাসনের কর্তব্য।টাকার বিনিময়ে সোর্সের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর জন্য একটি স্বীকৃত পন্থা।  পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের গ্রেফতারে এই পদ্ধতি প্রচলিত আছে।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৪ জুন নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে এক সুধী সমাবেশে সোর্স মানি হিসেবে মাদক দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক শহীদুল ইসলাম।  চট্টগ্রামের আনোয়ারা-পশ্চিম পটিয়া আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ নিজ এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা নিয়ে বিব্রত বলেও জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ইয়াবা আমার জন্য আরও বেশি বিব্রতকর বিষয়।  কারণ প্রতিদিন পত্রিকায় দেখি আমার এলাকায় ইয়াবা ধরা পড়ছে।  আনোয়ারায় সমুদ্র উপকূল আছে।  সেখানে ইয়াবা খালাস হয়।  এটা আমার জন্য এক কঠিন অবস্থা।

‘আনোয়ারায় কিছু এলাকা আছে একেবারে ঘরে ঘরে সমস্যা হচ্ছে।  আমি জেহাদ ঘোষণা করেছি।  যে কোনভাবে, যে দলেরই হোক না কেন, এটা বন্ধ করতে হবে।  আমার দলের হলেও শাস্তি পেতে হবে।  অন্য দলের হলে তো পেতে হবেই।  কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। ’ বলেন জাবেদ

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আতাহার ‍আলী, সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।

এছাড়া মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন দুজন মাদকসেবী ও আবু তৌহিদ খান নামে একজন অভিভাবক। স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান এবং দশম শ্রেণির একজন ছাত্রী তাসনিমাও মাদকবিরোধী বক্তব্য দেন।উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান ও দিদারুল আলম এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031