সরকার কারিগরি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একযোগে দেশের ১১৪টি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কালে এ কথা বলেন। এ বছর অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৪-বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ২৯টি টেকনোলজিতে এবছর মোট আসন সংখ্যা ৪৮ হাজার ১৫০টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৭৭টি। আজ মেধা তালিকায় নির্বাচিত ৪১ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীর ভর্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকী আসনগুলো পূরণ করা হবে। অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ভর্তির সুযোগ পাবে।

মন্ত্রী বলেন, সরকার কারিগরি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। কারিগরি শিক্ষা অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী ছিল শতকরা ১ ভাগের কিছু বেশি। বর্তমানে ১৪ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় পড়াশুনা করছে। ২০২০ সালের মধ্যে তা শতকরা ২০ ভাগ ছাড়িয়ে যাবে।

তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের নানিয়ান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ৪২০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আরো ১ হাজার ১৫০জন শিক্ষককে এ প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া চীনে আরো ৫৮১ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শুধু ডিগ্রী অর্জনের শিক্ষা হলেই চলবে না। এমন দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যাতে দেশে ও বিদেশে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। বিশাল জনশক্তিকে কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে তুলতে পারলে তারা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় কাজ করার সুযোগ পাবে। দক্ষতা না থাকলে দেশেই কাজ পাবে না। বাস্তব কাজের সাথে যোগ না থাকলে শিক্ষা অর্থহীন।

নাহিদ বলেন, কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণে দেশের অবশিষ্ট ২৩টি জেলায় বিশ্বমানের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। দেশের ৪টি বিভাগীয় শহরে একটি করে মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরো ৪টি বিভাগীয় শহরে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে মহিলা কারিগরি স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন করা হবে।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগির, অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা ও এফ এম আমিনুল হক এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031