পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছেন ঝালকাঠিতে । এ ঘটনায় সদর থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক আলমসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোর রাত পৌনে ৩টার দিকে বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠি সদর ও রাজাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বেরপাশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এমএম মাহমুদ হাসান বলেন, রাত পৌনে ৩টার দিকে টহল পুলিশের মাধ্যমে খবর পাই বেরপাশা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে এলাকা ঘেরাও করি। ডাকাতরা পুলিশ দেখে গুলি ছোড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে।
এসময় ডাকাত-পুলিশ গুলি বিনিময় হলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এতে সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. ফারুক আলম, এএসআই মেহেদী ও বাপ্পী আহত হন। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এক যুবককে গুলিবিদ্ধ ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় একটি শুটার গান, ১ রাউন্ড তাজা গুলি, একটি চায়নিজ কুড়াল, একটি বড় চাপাতি, একটি রেঞ্জ, একটি ছুড়ি, একটি হাতকরাত ও দড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ যুবককে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে নিহতের নামপরিচয় জানা যায়নি।
বেরপাশা গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রাত আড়াইটার দিকে সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হালিম হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দেন এলাকায় ডাকাত পড়েছে। এলাকাবাসী সাবধান হয়ে পাহাড়ায় নেমে যান। সেই মাইকের খবর শুনে আমিসহ আরো ৭/৮জন বের হই। ঘটনাস্থলে ৩টার দিকে গিয়ে দেখি অনেক পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনও আছে। ইতিমধ্যে একজন লোককে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে আসছে।