হোম ডেলিভারি সিস্টেমে ভয়ানক মাদক ইয়াবা এখন বিক্রি হচ্ছে । কখনো মোবাইলে যোগাযোগ করে, কখনো আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে জমজমাট ব্যবসা চলছে এ মাদকের। ফেইক আইডির মাধ্যমে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ছাড়াও অপরিচিতদের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছে ইয়াবা বিক্রির। গতকাল জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ইয়াবা এখন মারাত্মক একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর নিয়মিত তদারকিতে আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। কিন্তু সব থেকে বড় দুঃসংবাদ হলো, ইয়াবা ট্যাবলেটও হোম ডেলিভারি দিচ্ছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজারের নদীপথ দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা আসছে। ওই রুটে ইয়াবার পাচার আটকাতে পারলে এখানে ইয়াবা নিয়ে আলোচনা করতে হতো না। ইয়াবা ট্যাবলেট এখানে আসতই না। এখন হাত বাড়ালেই যে কেউ কিনতে পারছেন ইয়াবা।’
সিএমপির গোয়েন্দা শাখার দুই কর্মকর্তা আজাদীকে জানিয়েছেন, কক্সবাজার থেকে নগরীতে ইয়াবার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে মাদক কারবারিরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বিক্রেতারা গ্রেফতার হলেও সিন্ডিকেটের হোতারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চট্টগ্রাম নগরীতে ‘হোম সার্ভিস’ ব্যবসা চালানো অনেক কারবারির ব্যাপারে তথ্য পেয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তারা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নতুন ফর্মুলা অর্থাৎ হোম ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে চাইলে ঘরেই সরবরাহ করা হয় ইয়াবা। শুধু মোবাইলে অর্ডার দিলেই আধ ঘণ্টার মধ্যে মোটরবাইক নিয়ে হাজির হয়ে যাবে অর্ডার সাপ্লাই দিতে। ছোট আকারের এ ট্যাবলেট বহনের কায়দাও অভিনব! শার্টের কলার, মোবাইলের ভেতর ও প্লাস্টিকের প্যাকেটে এটি বহনের রেকর্ডও রয়েছে। এখন মুঠোফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে জোনভিত্তিক ইয়াবা পৌঁছে দেওয়া হয় বলেও জানা যায়।