রাস্তায় মানুষ ফুটপাতে আপেল কমলা,। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর অবস্থা এখন এরকমই। যানজট কমাতে সিএমপি কমিশনারের নির্দেশে রমজান মাসে হকার উচ্ছেদ করা হলেও ফের ফুটপাত তাদের দখলে চলে গেছে। সিদ্ধান্ত ছিল রাস্তা ও ফুটপাত হকার মুক্ত থাকবে। পরে হকারদের দাবির মুখে তাদেরকে ফুটপাতে বসার সুযোগ দিলেও রাস্তায় বসতে দেয়া হয়নি। কিন্তু ঈদের আগের দিন থেকেই সেই পুরনো চেহারায় ফিরে যায় সবকিছু। আবারো ফুটপাত ও রাস্তা হকারদের দখলে চলে যায়। এ অবস্থা দিনদিন আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এতে যাত্রী–পথচারীদের দুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে ঠেকেছে।
গতকাল সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর জনবহুল ও জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা বহদ্দারহাট, জিইসি মোড়, জিপিও, নিউ মার্কেট, রেয়াজুদ্দিন বাজার, ষোলশহর ২ নম্বর গেইট, আগ্রাবাদ, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, শেখ মুজিব রোড, কমার্স কলেজ রোড, আগ্রাবাদ নিমতলা ও ইপিজেড মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক, উপ সড়ক হকার মুক্ত অংশগুলো দখল করে আবারো পণ্যের পসরা নিয়ে হকাররা বসে পড়েছেন। ফলে পথচারীদের চলাচলে সেই ভোগান্তি রয়েই গেছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। অবৈধ দখলদারদের কারণে যানবাহনগুলোও দাঁড়াচ্ছে যত্রতত্রভাবে। এতে পথচারীদের পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।
ষোলশহর ২ নম্বর গেইট, নিউ মার্কেট, জিপিও ও রেয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় দেখা গেছে, সড়ক আর ফুটপাত দখল করে নিয়েছেন ভাসমান ও অস্থায়ী দোকানিরা। সেখানে তারা কাপড়–চোপড় ও ফলমূলের দোকান বসিয়েছেন। সন্ধ্যার পর সড়কের চিত্র পাল্টে যায়। ফুটপাত ছাড়াও সড়ক হকারদের দখলে চলে যায়। পুরাতন রেল স্টেশন রোড এলাকায় ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে পুরোনো ইলেকট্রনিক্স ও মোবাইল মার্কেট। হকারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। তারা পুলিশ, সন্ত্রাসী ও হকার নেতাদের দৈনিক এবং মাসিক চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। তবুও সময়ে–অসময়ে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। তারা বলেন, সিটি কর্পোরেশন হকারদের স্থায়ী পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিলেও তা থমকে রয়েছে। তাই অনেকটা অভিভাবকহীন ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে চলছে তাদের ব্যবসা। পথচারীদের হাঁটার সুবিধার জন্যই তৈরি হয় ফুটপাত। কিন্তু এই ফুটপাত এখন নগরবাসীর জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য আজাদীকে বলেন, ‘আমরা অভিযান চালাই তারাও সরে যায়। কিন্তু পরে আবারো দখল করে নেয়।’ এই অবস্থা থেকে উত্তরণে হকারদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মত দেন সিএমপির ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।