উচ্চ আদালত চিকুনগুনিয়া আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ কেন নয়’ এ মর্মে রুল জারি করেছে । আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
৯ জুলাই রোববার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এই রুল দেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রিটকারী আইনজীবী সুজাউদ্দোলা আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
স্প্রে ও যথাযথ ওষুধ ছেটানোর মাধ্যমে এডিস মশা ও অন্যান্য মশা ধ্বংস করতে বিবাদীদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়াও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সারাদেশে জনসচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সারা দেশের আক্রান্ত এলাকাসহ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশন পরিষ্কার করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও রুলে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রুলে স্বাস্থ্যসচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চিকুনগুনিয়া নিয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ০৪ জুলাই হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সুজাউদৌলা আকন্দ। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও দেশের অন্যান্য আক্রান্ত অঞ্চলে চিকুনগুনিয়া জ্বর নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।