আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারা থাকবে কিনা সে বিষয়ে আগস্টে আরেকটি বৈঠক হবে। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া এই আইনের ৫৭ ধারা যতদিন থাকবে, ততদিন এই ধারায় কোন অপরাধ হলে মামলা হবে। কিন্তু মামলা হওয়াটাই শেষ নয়। মামলা হওয়ার পরে এই ধারায় চার্জশিট দেওয়ার আগে তদন্ত একটা হয়। সেই তদন্ত অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে, সেটা আপনাদের আমি আশস্ত করতে পারি। রোববার সচিবালয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া নিয়ে আন্তমন্ত্রনালয়ের এক বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, আজকের আলোচনায় যেসব কথাবার্তা এসেছে, তার একটা রূপরেখা করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে এনে আমরা আগামী অগাস্ট মাসে এটার একটা ড্রাফট নিয়ে আবার মিটিংয়ে বসব। সেখানে ৫৭ ধারা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন অথবা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষণœ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহলে তার এই কার্য হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধের জন্য অনধিক ১৪ বছর ও অন্যূন ৭ বছর কারাদন্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ড দেওয়া যাবে। ২০০৬ সালে এই আইন পাস হয়। ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে সংশোধন করা হয়।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |