একটি বাড়ির শোয়ার ঘর খুঁড়ে ২৭টি গোখরা উদ্ধার নিয়ে আলোচনা রেশ থামতে না থামতেই এবার অন্য একটি বাড়ির রান্নাঘর খুঁড়ে পাওয়া গেল ১২৫টি গোখরা সাপ রাজশাহীতে । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলার তানোর পৌরসভার ভদ্রখন্ড মহল্লার কৃষক আক্কাস আলীর রান্না ঘরে সাপগুলো মারা হয়। তবে এসব সাপের সবই বাচ্চা। আগের বারের মতোই এবারও প্রাণীগুলোকে পিটিয়ে মেরেছে
গৃহকর্তা আক্কাস আলী জানান, সন্ধ্যার পর তার স্ত্রী হাসনা বিবি রান্না ঘরে যান। ওই সময় তিনি ঘরের মেঝেতে তিনটি গোখরা সাপের বাচ্চা দেখে আতঙ্কে চিৎকার দেন। খবর পেয়ে এগিয়ে যান আক্কাস আলী। পরে তার দুই ছেলে হাসিবুর রহমান ও আজিবুর রহমান এগিয়ে যান।
তারা তিন জনে একে একে মেরে ফেলেন ওই তিনটি সাপ। এরপর রান্না ঘরের কোনায় থাকা গর্তের ভেতর থেকে একে একে বেরিয়ে আসে আরো সাপ। সেগুলোও মেরে ফেলেন তারা। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। সবমিলিয়ে তারা ১২৫টি সাপ মেরেছেন। পরে গর্ত খুঁড়ে পাওয়া যায় সাপের ১৩টি ডিম।
আক্কাস আলী জানান, সাপগুলো এক থেকে দেড় ফুট লম্বা। কিছু কিছু আরো ছোট। কেবলই ডিম থেকে বেরিয়েছে। তারা মা সাপটিতে গর্ত থেকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন। পুরনো মাটির বাড়ি হওয়ায় ইঁদুরের গর্তে ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটিয়েছে গোখরা। বাপ-মা মারা না পড়ায় এখন তার পরিবার আতঙ্কে। ভয়ে ছেলে মেয়েরা বাড়িতেই থাকতে চাইছে না বলে জানান আক্কাস আলী।
এলাকার কলেজছাত্র আল-আমিন জানান, সন্ধ্যায় চেঁচামেচি পেয়ে তারা দৌড়ে যান ওই বাড়িতে। তারপর যা দেখেন তাতে চোখ ছানাবড়া। দেখেন ১২৫টি বাচ্চা সাপ মেরে ডালিতে রেখেছেন গৃহকর্তা। ঘটনার পর থেকে আক্কাস আলীর বাড়িতে সাপ দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। অনেকে মুঠোফোনে ছবিও তোলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ১১টার পর থেকে রাজশাহী মহানগরীর বুধপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মাজদার আলীর শোয়ার ঘরে একে একে মারা পড়ে ২৭টি গোখরা। ওই বাড়িটিও পুরোনো মাটির বাড়ি। বৃহস্পতিবার সেখানে মারা পড়ে আরো একটি সাপ। এগুলোর সবগুলোই বাচ্চা সাপ। প্রতিটি লম্বায় আড়াই ফুটের মতো।