পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করলেন সিএমপির পুলিশ পরিদর্শক (সদরঘাট থানার সাবেক ওসি) মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া আবারো নিজের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার অভিজাত হোটেল সেন্টমার্টিনে ঢুকে তিনি ওই হোটেলের চারজন কর্মী এবং ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক (এস আই) সৈয়দ আলমকে পিটিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এ সময় যারাই তাঁকে নিবৃত করার চেষ্টা করতে যায়, তার ওপরই হামলে পড়তে চান তিনি। এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মো: ইকবাল বাহার। গতকাল তিনি আজাদীকে বলেন, একজন পরিদর্শকের বিরুদ্ধে এ ধরনের একটা অভিযোগ পাওয়ার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া খুলশী থানার ওসির দায়িত্ব পালনের পর সদরঘাট থানার ওসি ছিলেন। দুই বছর আগে হোটেল থেকে বিনা অপরাধে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটকের পর মারধর করে স্ত্রীসহ তাকে আটকের ঘটনার জেরে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন সদরঘাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া। বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের পর বর্তমানে তিনি নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত আছেন। গত জানুয়ারিতে নগরীর খুলশীতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি গেস্ট হাউস থেকে অপ্রীতিকর অবস্থায় বেশ কয়েকজন নারীপুরুষকে আটকের পরও আলোচনায় এসেছিলেন তিনি।

সূত্রমতে, সোমবার (০৩ জুলাই) গভীর রাত দেড়টার দিকে মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া হোটেল সেন্টমার্টিনে যান। আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখা হোটেলের চারতলায় ৪১৫ নম্বর কক্ষে অবস্থান করে তিনি মদ পান করতে থাকেন। রাত আনুমানিক ২টার পর এক রুম বয় তার কাঙ্খিত ব্রান্ডের মদ দিতে না পারায় হোটেলের রিসেপশন কক্ষের সামনে তাকে মারধর করেন। এসময় হোটেলের নিজস্ব এক সিকিউরিটিকেও তিনি মারধর করেন। মাইনুল তাকে পিস্তল বের করে মেরে ফেলার হুমকি দেন এবং চড়থাপ্পড় দেন। আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী হোটেলের নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রধান অভ্যর্থনা ডেস্কের সামনে আসলে তিনিও লাঞ্ছিত হন। খবর পেয়ে হোটেলের বাইরে থেকে মাইনুলের প্রাইভেট কারের চালক তাকে নিয়ে যাবার জন্য আসেন। তাকেও গালিগালাজ করেন মাইনুল। তবে বিল পরিশোধ করে মাইনুলকে হোটেল থেকে বের করে নিয়ে যেতে সক্ষম হন গাড়িচালক। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে ডবলমুরিং থানার এস আই সৈয়দের নেতৃত্বে ডবলমুরিং থানার একটি টিম ওই হোটেলে যায় সেখানে অবস্থানরত বিদেশীদের নিরাপত্তার স্বার্থে। কিছুক্ষণ পর একটি প্রাইভেট কার সেখানে এলে এক হোটেল বয় বলে যে ওসি স্যার এসেছেন। তিনি ভাবেন তার থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম এসেছেন। তিনি উঁকি দিয়ে দেখতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মাইনুল। অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে তাকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। তিনি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে ডবলমুরিং থানার ওসি ও ওসি (তদন্ত) সহ কয়েকজন ছুটে যান হোটেলে। তার আগে মাইনুল চলে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা কথা বলেন উপস্থিত সকলের সাথে। ভিডিও ফুটেজ দেখেও নিশ্চিত হন। এ ব্যাপারে ওসি মহিউদ্দিন সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজাদীকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দিয়েছি কমিশনার স্যার বরাবর। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না। বাকিটা তদন্ত কমিটিই দেখবে।

পুলিশ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম ভূইয়ার বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে সিএমপি। বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রেপালিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে করা কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত উপকমিশনার (পশ্চিম) নাজমুল হাসানকে। সদস্য করা হয়েছে সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) ও গোয়েন্দা পুলিশের একজন পরিদর্শককে

আবারো নিজের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করলেন সিএমপির পুলিশ পরিদর্শক (সদরঘাট থানার সাবেক ওসি) মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া। অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার অভিজাত হোটেল সেন্টমার্টিনে ঢুকে তিনি ওই হোটেলের চারজন কর্মী এবং ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সৈয়দ আলমকে পিটিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এ সময় যারাই তাঁকে নিবৃত করার চেষ্টা করতে যায়, তার ওপরই হামলে পড়তে চান তিনি। এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মো: ইকবাল বাহার। গতকাল তিনি আজাদীকে বলেন, একজন পরিদর্শকের বিরুদ্ধে এ ধরনের একটা অভিযোগ পাওয়ার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া খুলশী থানার ওসির দায়িত্ব পালনের পর সদরঘাট থানার ওসি ছিলেন। দুই বছর আগে হোটেল থেকে বিনা অপরাধে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটকের পর মারধর করে স্ত্রীসহ তাকে আটকের ঘটনার জেরে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন সদরঘাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া। বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের পর বর্তমানে তিনি নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত আছেন। গত জানুয়ারিতে নগরীর খুলশীতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি গেস্ট হাউস থেকে অপ্রীতিকর অবস্থায় বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষকে আটকের পরও আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। সূত্রমতে, সোমবার (০৩ জুলাই) গভীর রাত দেড়টার দিকে মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া হোটেল সেন্টমার্টিনে যান। আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখা হোটেলের চারতলায় ৪১৫ নম্বর কক্ষে অবস্থান করে তিনি মদ পান করতে থাকেন। রাত আনুমানিক ২টার পর এক রুম বয় তার কাঙ্খিত ব্রান্ডের মদ দিতে না পারায় হোটেলের রিসেপশন কক্ষের সামনে তাকে মারধর করেন। এসময় হোটেলের নিজস্ব এক সিকিউরিটিকেও তিনি মারধর করেন। মাইনুল তাকে পিস্তল বের করে মেরে ফেলার হুমকি দেন এবং চড়-থাপ্পড় দেন। আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী হোটেলের নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রধান অভ্যর্থনা ডেস্কের সামনে আসলে তিনিও লাঞ্ছিত হন। খবর পেয়ে হোটেলের বাইরে থেকে মাইনুলের প্রাইভেট কারের চালক তাকে নিয়ে যাবার জন্য আসেন। তাকেও গালিগালাজ করেন মাইনুল। তবে বিল পরিশোধ করে মাইনুলকে হোটেল থেকে বের করে নিয়ে যেতে সক্ষম হন গাড়িচালক। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে ডবলমুরিং থানার এস আই সৈয়দের নেতৃত্বে ডবলমুরিং থানার একটি টিম ওই হোটেলে যায় সেখানে অবস্থানরত বিদেশীদের নিরাপত্তার স্বার্থে। কিছুক্ষণ পর একটি প্রাইভেট কার সেখানে এলে এক হোটেল বয় বলে যে ওসি স্যার এসেছেন। তিনি ভাবেন তার থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম এসেছেন। তিনি উঁকি দিয়ে দেখতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মাইনুল। অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে তাকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। তিনি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে ডবলমুরিং থানার ওসি ও ওসি (তদন্ত) সহ কয়েকজন ছুটে যান হোটেলে। তার আগে মাইনুল চলে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা কথা বলেন উপস্থিত সকলের সাথে। ভিডিও ফুটেজ দেখেও নিশ্চিত হন। এ ব্যাপারে ওসি মহিউদ্দিন সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজাদীকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দিয়েছি কমিশনার স্যার বরাবর। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না। বাকিটা তদন্ত কমিটিই দেখবে। পুলিশ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম ভূইয়ার বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে সিএমপি। বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রেপালিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে করা কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) নাজমুল হাসানকে। সদস্য করা হয়েছে সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) ও গোয়েন্দা পুলিশের একজন পরিদর্শককে

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031