কিছুক্ষণ আগে বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর তার ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে ও যৌথ প্রযোজনার অনিয়ম নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি দেশের সিনেমা নিয়ে বর্তমান অরাজকতার কথাই বলেছেন। স্ট্যাটাসে দেশীয় সিনেমা রাজনীতিকে বাঁচানোর আকুতিও ছিল। নিচে আসিফ আকবরের স্ট্যাটসটি হুবহু দেয়া হলো।

‘চর দখলের স্টাইলে চলছে সিনেমা হল দখল। অল্প কিছু হল এখনো জীবিত আছে, সেগুলো দখল করে চলছে যৌথ প্রতারনার অবৈধ ছবি। হিন্দী ছবি সারফারোস,বাজী আর বাদশাহ ছবিগুলোর ককটেল সংস্করন নবাব, পোস্টারের ছবিটিও তেলেগু কপি (তথ্যসুত্র- বাংলা ট্রিবিউন) । বস-২ পুরোটাই বসগিরি করেই চালানো হয়েছে । বাংলাদেশে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওপারের মাড়োয়ারীদের সাথে সমঝোতা করে ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রীকে বানিয়েছে পলাশীর প্রান্তর। তাদের কাষ্টিং টেকনিক্যাল সাপোর্ট, অর্থ বিনিয়োগ এবং প্রভাব প্রতিপত্তির লাগামহীন আগ্রাসন চলছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। যৌথ প্রযোজনার নীতিমালাকে পদদলিত করে এদেশে শুরু হয়েছে মাড়োয়ারী ( পুরনো সুদ ব্যবসায়ী মাউরা) ব্যবসা, সেই সঙ্গে হুন্ডির চালানে চলছে টাকা পাচার ।

ঢাকাই ছবিতে প্রভাব বেড়েছে ক্যালকেশিয়ান উচ্চারনের, দেখার লোক হঠাৎ অন্ধ, শোনার লোক বধির। জায়েজ করার চেষ্টায় দু’একজন দেশী সঙ্গীতশিল্পী গেটিস হিসেবে গাইছে যৌথ প্রতারনার ছবিতে। বাংলাদেশের হাজারো শিল্পী গীতিকার সঙ্গীত পরিচালকদের যোগ্যতা নেই যৌথ প্রতারনার ছবিতে কাজ করার, অবশ্য এ পরিস্থিতি তারা নিজেরাই সৃষ্টি করেছে চামচামির মাধ্যমে। মাড়োয়ারী অর্থায়নে এখনকার কিছু গুণিরা বিক্রি হয়ে গেছেন আরো আগেই। নিজের স্বার্থের জন্য দেশের স্বার্থ বিক্রি করতে সিদ্ধহস্ত এ জাতির পুরনো প্রেতাত্মার উত্তরসূরি তারা। ঐ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পদলেহনকারীরাই ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত করে এ জাতিকে পড়িয়েছিলো গোলামীর জিঞ্জির ।

আমার এসব কথা ভালো লাগবেনা জানি, তারপরও মীর মদন, মোহন লাল আর ক্ষুদিরামের মত স্বাধীনচেতাদের চরিত্র কখনো বদলায় না, আমিতো সাধারণ আসিফ, তবে অকাল প্রয়াত প্রিয় নায়ক মান্না ভাইকে মিস করছি কমরেড হিসেবে । শাকিব বাংলাদেশের সেরা হিরো এই মুহুর্তে, যারা অস্বীকার করবে তাদের জন্য উপহার ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের ঘোলা শরবত ( পা’চাটা আঁতেল বাদে )। মাড়োয়ারীরা ব্রিটিশদের মত খেলছে ‘ডিভাইড এন্ড রুল’ গেম, সঙ্গে আছে দেশীয় দালাল প্রোডাকশান হাঊসটি। এই বিভক্তির খেলায় জয়ী হবে মাড়োয়ারীরাই। বাংলা ছবির অস্তিত্বের জন্যই এই ব্যাপারটি সাকিবকেও বুঝতে হবে, আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারকেও বুঝতে হবে। আসুন নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরী না করে দেশীয় ছবিতে মেধা খাটাই। নীতিমালা অনুযায়ী চলুক সিনেমা শিল্প। মাড়োয়ারী আর লোকাল এজেন্টদের রাজনীতির ছোবল থেকে বাঁচাই আমাদের শাকিব-অপুর রাজনীতি ছবিটি। চলুন সবাই হলে গিয়ে দেখি আমাদের আসল ঔরষজাত ছবি- রাজনীতি।’

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031