ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে দুই পক্ষের বোমা-গুলি, দোকান-বাজারে অগ্নিসংযোগ, জনতা-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধের মতো ঘটনা এখনো থামেনি । তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও বুধবার বিকেলের পর থেকে বসিরহাট মহকুমার নানা প্রান্তে শান্তি ফেরাতে আলোচনায় বসেছে বিবাদমান পক্ষগুলো।
জানা যায়, হাড়োয়ায় শান্তি মিছিল হয়েছে, প্রশাসনের উদ্যোগেও শান্তি বৈঠক হয়েছে স্বরূপনগরে। সেখানে ছিলেন সাংসদ, বিধায়কেরা। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে নতুন আরও চার কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। দিন শেষে বসিরহাটের এসডিপিও নীতেশ ঢালি বলেন, ‘পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।’
তবে সকালের দিকে বসিরহাট স্টেশন-সংলগ্ন এলাকা, ভ্যাবলা, পাইকপাড়া, রামনগর, হরিশপুর, ট্যাঁটরাবাজারে একাধিক সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। বাজার-দোকান ভাঙচুর করে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মার খেয়েছে পুলিশ, র্যাফ।
রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই উত্তেজনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ২২ জন। র্যাফ ও পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। পাইকপাড়ায় পুলিশ-র্যাফের গাড়ি ঘিরে ভাঙচুর চালায় জনতা।
এদিকে, বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেষা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বসিরহাট নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যপালের রিপোর্ট এখনও যায়নি। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কথা হয়েছে দিল্লিতে।
অধীর দাবি করেছেন, রাজনাথ তাকে বলেছেন, রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, মুসলমানদের পবিত্র কাবাঘরের আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনার সূত্রপাত গত রবিবারে। অভিযুক্ত রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া এলাকার শৌভিক সরকারকে পুলিশ আটক করলেও তার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ক্ষুব্ধ মুসলমানরা।