কবি ফরহাদ মজহারের আকস্মিক নিখোঁজের ঘটনায় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন ও সচেতন নাগরিকদের প্রতি সোচ্চার হবার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। গতকাল সংগঠনটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিখোঁজ ও গুম করে ফেলা বর্তমান সরকারের আমলে নিয়মিত ও সাধারণ ঘটনা হিসেবে পরিণত হয়েছে। গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকারের পর বিভিন্ন জায়গায় নেতা-কর্মীদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনাও প্রায়ই ঘটেছে। অনেকের পরিবার লাশ পর্যন্ত ফেরত পায়নি। অবৈধ সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হিটলারের গেস্টোপো বাহিনীর মতো ব্যবহার করছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান অবস্থায় ফরহাদ মজহারের মতো খ্যাতিমান নাগরিক ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী যেখানে নিরাপদ না, সেখানে দেশের সাধারণ মানুষের জান-মালের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। ফরহাদ মজহারকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীই ধরে নিয়ে গেছে বলে পরিবার ও সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে। এই ঘটনায় দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক উর্দ্দীপনা ও উৎকণ্ঠার। ফরহাদ মজহারের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে বর্তমান সরকারই দায়ী। তাঁর মতো একজন বুদ্ধিজীবী এভাবে উধাও হয়ে যাবেন তা মেনে নেয়া যায় না। অনতি বিলম্বে জনাব ফরহাদ মজহারকে সুস্থ শরীর ও সম্মানের সাথে ফেরত দেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহামুদুর রহমান, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদ, মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ, ড্যাব-এর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ড্যাব-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডিইউজের সভাপতি আবদুল হাই সিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, এ্যাব-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনহ আক্তার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার হাসিন আহমদ, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, জাতীয় প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, এসোশিয়েশন অফ এগ্রিকালচারিস্ট-এর আহবায়ক আনোয়ারুন নবী মজুমদার বাবলা, সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ইউট্যাব সভাপতি সাবেক প্রো-ভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার টফি, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ।