আজ পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার নিচ দিয়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি গত দুইদিন বিভিন্ন সময়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ।
সোমবার ভোর থেকে তিস্তার পানিপ্রবাহ বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিজ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পানি কমে যাওয়ায় কমেছে তিস্তা ও ধরলার প্রবল স্রোত। তবে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করলেও নদী তীরবর্তী এলাকায় এখনো অন্তত ৫/৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক মানুষ। পানিবন্দি হাজারো মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
পাহাড়ি ঢলে গত শনিবার সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকালের দিকে পানি কমলেও রবিবার সকালে আবারও পানি বেড়ে বিপদসীমার সাড়ে ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে করে দুইদিনে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুণ্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ২৫টি চর ও কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের নিচু অঞ্চলের বসতভিটায় বন্যার পানি প্রবেশ করে। নিচু অঞ্চলের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়।
গতকাল দুপুর থেকে আস্তে আস্তে পানি করতে শুরু করে এবং আজ সকালে তা বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে পানি কমলেও দুর্ভোগের অন্ত নেই বন্যাকবলিত এসব এলাকার লোকজনদের। পানি নেমে গেলেও এসব এলাকার মানুষ তীব্র পানি সংকটে ভুগছেন। এছাড়া অনেকে পানিবাহিত নানা রোগে ভুগছেন।
তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান সোমবার সকালে জানান, তিস্তা নদীর পানি সোমবার ভোর থেকে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিজ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে বন্যাদুর্গত অনেক এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।