ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছালে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন ।
রবিবার বিকালে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আগের মতো আগামী সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে।’ এ বিষয়ে সাংবাদিকরা ইসি সচিবের কাছে জানতে চান।
সচিব বলেন, ‘সেনা মোতায়েনের বিষয়টি কমিশন পজেটিভলি দেখবে। সবার ঐকমত্য থাকলে কমিশন সেটাকে অনার করবে- আমার যতটুকু ধারণা।’
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে প্রজাতন্ত্রের যত নির্বাহী বিভাগ আছে নির্বাচন কমিশনে তাদের চাকরি ন্যস্ত বলে গণ্য হবে নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ বিধান আইন ১৯৯১ অনুসারে। এই আইনে কমিশনকে ক্ষমতা দেয়া আছে। কেউ যদি দায়িত্বপালনকালে শৈথল্য প্রদর্শন করে এবং যদি ইনটেনশনালি কোনো অ্যাক্ট করে তাহলে সেটি অপরাধ বলে গণ্য হবে। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে।’
নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য বর্তমান কমিশন যেকোনো শক্ত পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না বলে জানান ইসি সচিব।
গতকাল শনিবার গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অন্তত এক সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এর আগেও সোনাবাহিনী এ দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু এখন তারা সেনাবাহিনী চান না, কারণ চান না মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিক।
আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী থাকবে। নির্বাচন কমিশন মনে করলে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়ন করবে।
২০১৮ সালের শেষ দিকে দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট গত নির্বাচন বর্জন করলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে শুরু থেকেই বিএনপি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়। তাদের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তুলেছিল। তবে কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কমিশনের বিরুদ্ধে বড় কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি দলটি। এই কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে তাদের।