এলডিপি মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন, তুমুল গণআন্দোলনের মাধ্যমেই আগামী দিনে বিএনপি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি আদায় করবে ২০ দল। তাই সময় থাকতেই সহায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়া উচিত। অন্যথায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তা সরকারের জন্য সুখকর বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস তাই প্রমাণ করে।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের রামগঞ্জের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে এলডিপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রেদোয়ান বলেন, ‘শাহাদাত হোসেন সেলিমের বাসভবনে হামলা, নেতা-কর্মীদের আহত করা গণতন্ত্রের জন্য অশুভ ইঙ্গিত বহন করছে। এই হামলা জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক শক্তির বিরুদ্ধে হামলা। হামলার সঙ্গে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা আর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী এই সরকার আর বেশি দিন ক্ষমতায় নেই। দেশের জনগণ এই সরকারকে চাচ্ছে না। সহায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।’
সরকার বর্তমান পুলিশ প্রশাসনকে দলীয় করণ করেছে তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় এমন দাবি করে রেদোয়ান বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের সংস্কার করতে হবে। তারা পুলিশ বাহিনী যখন খুশি গুম, খুন হত্যা নির্যাতন করছে। তারা আইনশৃঙ্খলায় নিযুক্ত থাকবে আর নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এটা আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ বিশ্বাস করে না।’
এলডিপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন মাহির সভাপতিত্বে সভায় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এলডিপি যুগ্ম মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, প্রচার সম্পাদক বিল্লাহ হোসেন মিয়াজী প্রমুখ।