একই পরিবারের নারীসহ ছয় চিহ্নিত মাদকবিক্রেতা আত্মসমর্পণ করেছেন। এদের মধ্যে চারজনই নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়।
রবিবার সকালে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন তরফদারের নিকট তারা আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণকারীরা হলেন- বাছির মিয়া এবং তার স্ত্রী হাসেনা বেগম, ইবন মিয়া এবং তার স্ত্রী নয়ন তারা, জেলবন্দি জীবনের স্ত্রী সাহেনা বেগম, সদ্য নিখোঁজ নাছিরের মেয়ে কবিতা।
জানা গেছে, বাছির তার ভাই নাছির এবং ইবন, জীবন। তারা আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের নয়ামোড়া সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা। তাদের প্রধান পেশা মাদকবিক্রি। পুলিশের তালিকাভুক্ত ‘মাদক সম্রাট’ এরা। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও র্যাবের ওপর হামলা, ডাকাতি, মারামারি, অপহরণ ও ছিনতাইসহ একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
মাদক মামলায় অভিযুক্ত ৫টি ওয়ারেন্ট ও ১টি সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবন মিয়া বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে বন্দি। গত কদিন হয় রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে একাধিক মামলার আসামি মাদক সম্রাট নাছিরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেলেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মাদক মামলায় ১৭টি ওয়ারেন্টভুক্ত ও ১টি সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বাছির মিয়া এবং চারটি ওয়ারেন্টভুক্ত ও একটি সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইবন মিয়া রবিবার সকালে পরিবারের নারী মাদক বিক্রেতাদের নিয়ে আখাউড়া থানায় উপস্থিত হন। পরে ওসি মোশারফ হোসেন তরফদারের নিকট তারা আত্মসমর্পণ করেন। অবশ্য এ কাজে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার উদ্ধুদ্ধ করেন মনিয়ন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান আলমঙ্গীর ভূঁইয়া ও মনিয়ন্দ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহীন মিয়া।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন তরফদার বলেন, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে দিশেহারা হয়ে তারা মাদক বিক্রির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে আর এ কাজের সাথে জড়িত না হবার অঙ্গীকার করলে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দেয়া হয়।
তিনি জানান, তারা সকলেই একাধিক মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। তবে বাছির ও ইবন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে। অন্যরা জামিনে থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়। ভবিষ্যতে তারা মাদক বিক্রিতে জড়িত হলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না।