সৌদি আরবে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশী কর্মীদের দেশত্যাগে ৯০ দিনের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২৫ জুন। এ সময়ের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩৬ হাজার অবৈধ বাংলাদেশী দেশে ফিরতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আউটপাস সংগ্রহ করেছেন। এই অবস্থায় অবৈধ শ্রমিকদের দেশত্যাগের মেয়াদ আরো ৩০ দিন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
শুক্রবার সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধ শ্রমিকদের দেশত্যাগে সৌদি সরকার সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ আরো ৩০ দিন বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ৩ মাসের ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার সময় শেষ হয়ে গেছে ২৫ জুন। এসময়ের মধ্যে ৩৬ হাজার ৪০০ অবৈধ বাংলাদেশী দূতাবাস থেকে আউটপাস সংগ্রহ করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হতে পারে আরো কিছু অবৈধ লোক এখনো রয়ে গেছে। এরমধ্যে কিছু রিমোট এলাকাও রয়েছে। সে জন্য আরো ৩০ দিনের সাধরণ ক্ষমার মেয়াদ তারা বাড়িয়েছে।
এর আগে সৌদি ইমিগ্রেশন অথরিটি ইন্টেরিয়র মিনিস্টার আব্দুল আজিজ বিন সউদ বিন নায়েফ বিন আব্দুল আজিজ আলে সউদের উদ্বৃতি দিয়ে সৌদি প্রেস এজেন্সি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ আরো ৩০ দিন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। সৌদি প্রেস এজেন্সির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের অনুমোদন সাপেক্ষে সব দেশের নাগরিকদের জন্য সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ ২৫জুন থেকে ৩০ দিনের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের জন্য এর আগে জেল জরিমানা ছাড়া দেশে ফিরে যেতে গত ২৯ মার্চ থেকে ৯০ দিনের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল।
নতুন করে মেয়াদ বাড়ানোয় আগামী ২৪ জুলাই পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসীরা দেশে ফেরার সুযোগের জন্য এক্সিড ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। এই সুযোগ গ্রহণকারীদের পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। এর আগে যারা বিভিন্ন কারণে এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেনি তাদেরকে দ্রুত নতুন সুযোগ গ্রহণের আহবান জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে ফ্রি ভিসার নামে পাড়ি জমানো বহু শ্রমিক বর্তমানে সৌদি আরবে বেকার জীবন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এজন্য সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিক্রুটিং এজেন্সিকেই বেশি দায়ী করছেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূতের সুপারিশে ১৫ রিক্রুটিং এজেন্সিকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কালোতালিকাভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোকে চিঠি দেয়।