ঈদ করতে রাজধানী ছেড়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষপরিবার-পরিজনের সঙ্গে । ঢাকার রাস্তা-ঘাট তাই অনেকটাই ফাঁকা। মানুষ জনও তেমন নেই। ব্যস্ত শহর ঢাকার নেই আগের সেই রূপ। নেই কোনো কোলাহল, যানজট। সব জায়গায় সুনসান নীরবতা।

ঈদের পরদিন মঙ্গলবার রাজধানীর সড়কগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। হঠাৎ দুই একটা বাসের দেখা মিললেও সিএনজিচালিত অটোরিকশার দেখা মিলেছে বেশি। রাজধানীর ব্যস্ততম মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন মোড়, প্রেসক্লাব, শাহবাগ, ফার্মগেট, কাকরাইল এমনকি মৌচাকেও নেই চিরচেনা যানজট। কোলাহল আর যানজটমুক্ত শহর দেখে যারপরনাই খুশি অনেকেই।

শ্যামল নামের এক পথচারী বলেন, ঈদ আসলেই রাজধানী ঢাকাকে খুব অচেনা লাগে। মানুষের কোনো ভিড় থাকে না। যানজট থাকে না। চলাফেরা করে অনেক শান্তি পাওয়া যায়।

মোস্তাক নামের এক গণমাধ্যমকর্মী বলেন, ঈদের আগেও অফিসে আসতে সময় লাগতো এক থেকে দেড় ঘণ্টা। আর এখন সময় লাগছে ১০ মিনিট। মোটরসাইকেল চালিয়ে বেশ মজা পাচ্ছি।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা এবারের ঈদে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে গেছে প্রায় আশি লাখ মানুষ। রাজধানীর প্রায় পনের থেকে বিশ লাখ ঘরবাড়ি এখন ফাঁকা। রাজধানীর নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএনসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ছুটি বাতিল করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)। পূর্ণ শক্তি নিয়ে এখন মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে অর্থাৎ ঈদকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ হাজার সদস্যকে মাঠে নামানো হয়েছে। এর মধ্যে ডিএমপির আটটি জোন এবং কূটনৈতিক এলাকা নিয়ে গঠিত সেন্সরি জোনে রয়েছে সাত হাজার পুলিশ।

এছাড়া রাজধানীতে বসানো হয়েছে শতাধিক তল্লাশি চৌকি। ফুটপেট্রলের পাশাপাশি মোটরসাইকেল টহল রয়েছে।ঈদের তিন দিন আগে ও তিন দিন পরে মোট ছয় দিন থাকছে বিশেষ এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তা বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার নাভিদ কামাল শৈবাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ঈদে রাজধানী ছেড়ে মানুষ গ্রামে যাওয়ায় রাজধানীর রাস্তাগুলো প্রায় ফাঁকা। এই ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই। পুলিশের পক্ষ থেকে স্পেশাল কেয়ার রাখছি, মোবাইল পেট্রল রয়েছে। অন্য সময়ের চেয়ে আমরা এখন অনেক বেশি সর্তক।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031